আমার ওপর আস্থা রাখুন: মমতা

বাংলাদেশ সফররত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তির বিষয়ে এরই মধ্যে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। আর তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তির ব্যাপারে আমার ওপর আস্থা রাখুন।’
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের সাথে মতবিনিময়কালে মমতা এ কথা বলেন। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সফররত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন। এর নাম দেওয়া হয়েছিল ‘বৈঠকী বাংলা’।
‘ভুল বোঝানো হয়েছিল’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কিছু ভুল বোঝানো হয়েছিল। অনেকে অনেক কিছু প্লে (খেলা) করে। আমরা কিন্তু কোনো কিছু প্লে করতে চাই না। কেননা এখানে হৃদয়টা যুক্ত। আর আমাদের হৃদয়টা একই ভাষার।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি হাসিনাদির (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সাথে দেখা করব কাল। স্থলসীমান্ত নিয়ে সমস্যা আমরা সমাধান করে দিয়েছি ইতিমধ্যে। সংসদে এ বিল আছে।’
এরপর তিস্তার প্রসঙ্গ তোলেন মমতা নিজেই। তিনি বলেন, ‘আপনাদের মনে প্রশ্ন থাকতেই পারে-তিস্তা। ওটা আমার ওপর আস্থা রাখুন। আপনাদের কিছু সমস্যা আছে, আমাদেরও কিছু সমস্যা আছে। এটা আমি হাসিনাদির সঙ্গে আলাপ করব। এটা আমাদের ওপর ছেড়ে দিন। আমরা কথা বলে নিব। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘পদ্মা, মেঘনা, গঙ্গা, যমুনা সবটাই আমাদের নিজস্ব। এর মধ্যে আমরা ভাগাভাগি কখনো দেখি না। সুতরাং আমাদের ভাগাভাগি কেউ করতে চাইলেও হবে না।’
‘বঙ্গবন্ধু ভবন করতে চাই’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি কলকাতায় বঙ্গবন্ধু ভবন করতে চান। তিনি বলেন, ‘যদি বাংলাদেশের সরকার সম্মত হয়, আমরা বঙ্গবন্ধু ভবন করতে চাই কোলকাতায়। বাংলাদেশের অনেক মানুষ, শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী যায় কোলকাতাতে। আমরা জায়গা দিব এ ভবনের জন্য। বঙ্গবন্ধু ভবনে একটি জায়গা থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম এমনভাবে জড়িত যে কাউকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। তিনিই তো মুক্তি আন্দোলনের সবচেয়ে বড় পথিকৃৎ।’ পাশাপাশি তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি চেয়ার প্রতিষ্ঠা করার কথাও জানান।