নড়াইলে খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শেষ, আদেশ ১৭ জুলাই

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানি মামলার জামিন শুনানি শেষে আদেশের জন্য ১৭ জুলাই দিন ধার্য করেছেন নড়াইলের আদালত। আজ সোমবার বিকেলে সদর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জাহিদুল আজাদ এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে জাহিদুল আজাদের আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
গত ১৬ এপ্রিল নড়াইলে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করা হলে ৮ মে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। এরপর ৮ মে জামিন মঞ্জুর, নামঞ্জুর কোনোটাই হয়নি বলে জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। পরবর্তীতে ২৮ মে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলাটি ‘নট প্রেসড রিজেকটেড’ (উপস্থাপিত) হয়নি বলে খারিজ করে দেন।
গত ২৮ মে আদালত বলেন, মামলাটি ওই আদালতে (নিম্ন আদালত) শুনানি করে আসুন। এ পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার মামলার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ৩০ মে নড়াইলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করলে ৫ জুন শুনানির দিন ধার্য হয়। ৫ জুনের শুনানিতে আদালত ‘নট মেইনটেনবেল বা সমর্থনীয় নয়’ উল্লেখ করে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইলের নড়াগাতি উপজেলার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম (বর্তমানে জেলা পরিষদ সদস্য) বাদী হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে নড়াইল সদর আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে খালেদা জিয়া তাঁর বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তক আছে বলে মন্তব্য করেন।
এ ছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি। তাঁর ওই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে প্রচার হয়। পরে রায়হান ফারুকী বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন।