ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যা : তৌহিদুর ও আমিনুল শ্যোন অ্যারেস্ট
ঢাকায় জঙ্গি সন্দেহে আটক তৌহিদুর রহমান ও আমিনুল মল্লিককে সিলেটের ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সিলেট মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করলে বিচারক সাহেদুল করিম এ দুজনকে ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে এ দুজনসহ মোট পাঁচজনকে এ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন করে পুলিশের বিশেষ তদন্ত শাখা-সিআইডি। এই পাঁচজন ঢাকায় ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় আটক রয়েছেন।
তৌহিদ ও আমিনুল ছাড়াও মঙ্গলবার সিলেট মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয় আরিফুল ইসলাম ও জাকিরুল প্রকাশকে। তবে আরিফ ও জাকিরুলকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন আদালত আজ আমলে নেননি।
পাঁচজনকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর জন্য সিআইডি আবেদন করলেও অপর অভিযুক্ত সাদেক আলিম মিঠুকে আজ আদালতে হাজির করা হয়নি।
এদিকে এই পাঁচজনকে ১৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী। তবে সাদেক আলিম মিঠু আদালতে হাজির না হওয়ায় রিমান্ডের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর আদালত রিমান্ডের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন।
গত ১৭ আগস্ট ঢাকা থেকে তৌহিদুর রহমান ও আমিনুল মল্লিককে আটক করে র্যাপিট অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও জঙ্গি সন্দেহে তাদের আটক করা হয়।
র্যাব জানায়, তৌহিদুর রহমান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও আইটি বিশেষজ্ঞ। আমিনুল মল্লিক আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যদের আত্মগোপনে ও দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে পাসপোর্ট তৈরি করে দিতেন।
গত ১২ মে সকালে সিলেট নগরের সুবিদবাজারে নূরানী আবাসিক এলাকায় নিজ বাসার সামনে বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
এর আগে এ হত্যা মামলায় ফটোসাংবাদিক ইদ্রিস আলী, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মান্নান রাহি ও তার ভাই মোহাইমিন নোমান এবং আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মধ্যে মান্নান রাহি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।