যারা ক্ষমতায় নেই, তাদের সাথেই বৈঠকের কথা বলা হয়েছে : জাতিসংঘ

বিরোধী দলের সাথে গঠনমূলক আলাপ-আলোচনা (এনগেজমেন্ট) বলতে যে দল ক্ষমতায় নেই, তাদের সাথেই বৈঠক করা বুঝিয়েছে জাতিসংঘ। গতকাল শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরের নিয়মিত মধ্যাহ্ন ব্রিফিংয়ে মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফান ডুজারিক বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, বিরোধী দল মানে যারা ক্ষমতায় নেই। সেই বিরোধী দলের সঙ্গেই বৈঠকের কথা বলা হয়েছে।
জাতিসংঘের নিয়মিত এই ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। সাংবাদিক ম্যাথু রাসেল লি জানতে চান, যেখানে বাংলাদেশি সামরিক কর্মকর্তাদের নামের একটি সুনির্দিষ্ট তালিকা আছে, যাঁদের বিরুদ্ধে এখন এবং ২০১৩ সালের মে মাসে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা এখন জাতিসংঘের মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন। আমি এসব কর্মকর্তার বিষয়ে শান্তিরক্ষা মিশনের পর্যালোচনা জানতে চাই।’
জবাবে মহাসচিবের মুখপাত্র ডুজারিক বলেন, ‘শান্তিরক্ষা মিশন সম্পর্কে কোনো তথ্য এই মুহূর্তে আমার হাতে নেই।’
সাংবাদিক লি মহাসচিবের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ওই বৈঠকে বান কি মুন দেশটির বিরোধী দলের সঙ্গে গঠনমূলক আলাপ-আলোচনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বা নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশের গণমাধ্যমে আমি এ নিয়ে সংশয় দেখতে পেয়েছি, এই আহ্বানের অর্থ কি এই যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করা, বা তাঁকে সন্ত্রাস প্রত্যাহার করতে বলা?
এ প্রশ্নের জবাবে স্টিফান ডুজারিক বলেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এবং যে চিঠিগুলো পাঠানো হয়েছিল তাতে মহাসচিব দেশটির সরকারকে পরিস্থিতি প্রশমনের সুনির্দিষ্ট পথ খুঁজতে এবং দেশের দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা ও উন্নয়নের জন্য বিরোধী দলের সঙ্গে গঠনমূলক আলাপ-আলোচনা করতে উৎসাহিত করে আসছেন।’
এরপর লি বলেন, ‘তাহলে তার মানে দাঁড়াচ্ছে বৈঠক’। জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘জ্বি...’। আবার লি বলেন, ‘তাহলে বিষয়টা হলো..’। মুখপাত্র বলেন, ‘আমার কাছে বিরোধী দলের সাথে আলাপ-আলোচনা হলো, বিরোধী দলের সাধারণ সংজ্ঞাই হলো, যারা ক্ষমতায় নেই তারা।’