মাগুরায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত অর্ধশত

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার ঘুল্লিয়া গ্রামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছে। এ সময় ৩১টি বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫২টি শটগানের গুলি ও নয়টি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত ১৬ জনকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারীকুল ইসলাম জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শিকদার মিজানুর রহমানের সমর্থকদের সঙ্গে একই গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাকিবুল ইসলাম পিকুল মোল্ল্যার সমর্থকদের দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল। তারই সূত্র ধরে গতকাল রোববার রাত ৯টা থেকে আজ সোমবার ভোর রাত পর্যন্ত ইউনিয়নের ঘুল্লিয়া গ্রামে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ৩০ থেকে ৪০ জন আহত হয়। বেশ কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৫২ রাউন্ড শটগানের গুলি ও নয়টি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
ওসি জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলার সময় ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
আহতরা জানায়, রোববার সকালে শিকদার মিজানুর রহমান সমর্থক তোরাফ ও জালেক মোল্যাকে পিকুল ও তাঁর সমর্থকরা রাস্তায় পেয়ে মারধর করে। পরে ওই দিন বিকেলে শিকদার মিজানুর রহমানের সমর্থকরা পিকুলের সমর্থক সাইফুল মোল্ল্যাকে বিনোদপুর বাজারে কুপিয়ে আহত করে। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রাত ৯টা থেকে উভয়পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ভোররাত পর্যন্ত দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশত সমর্থক আহত হয়। ৩১টি বাড়িঘরে ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
বিনোদপুর ইউপির চেয়ারম্যান শিকদার মিজানুর রহমান ও পিকুল মোল্যার কাছে সংঘর্ষের কারণ জানতে চাইলে তাঁরা দুজনই পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দেন।
গুরুতর আহতদের মধ্যে দবির হোসেন, ওলিয়ার রহমান, রাসেল, ইব্রাহিম, সাইফার, মনিরুল, জাহিরুল, হৃদয়, খিজির, মিঠু মোল্যা, রেজাউল, সুমন মোল্যা, রকিব মোল্যা, সিরু মোল্যা, ফিরোজ, মনিরুল মিয়া, বাবলু শেখ, আবির মোল্যা, নায়েব খান, দাউদ, আব্দুল, জিব্রিল, হাবিল খান, বাটকু, দুলাল, সাইফুল ও মাসুদকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।