নড়াইলে ‘টক অব দ্য টাউন’ একটাই!

‘আমাদের মাশরাফি সৎলোক। ও নড়াইলের উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করে।’ নড়াইলের একজন বয়স্ক মানুষ এভাবেই বলছিলেন ক্রিকেটার মাশরাফিকে নিয়ে।
ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনছেন, খবরটি ছড়িয়ে পড়ে গতকাল শনিবার। তিনি নড়াইলের বাসিন্দা। নড়াইল-২ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনবেন মাশরাফি।
ওই আসনের একটি বড় অংশজুড়ে নড়াইল সদর। ‘ম্যাশ’ প্রার্থী হবেন, সেটাই এখন নড়াইলের ‘টক অব দ্য টাউন’। শহরে দিনভর সাধারণ মানুষের আলোচনার মূল বিষয় ছিল মাশরাফির নির্বাচন করার বিষয়টি।
নির্বাচন করার ব্যাপারে মাশরাফি বা তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো সদুত্তর না পেয়ে নড়াইলের মানুষ এক ধরনের দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যেই ছিল। তফসিল ঘোষণার পরই এ ব্যাপারে জেলার সর্বত্রই কানাঘুষা চলছিল। তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ বিষয়টি জানানোর পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে নড়াইলের মানুষ।
নড়াইলের একজন বয়স্ক মানুষ বলেন, ‘নড়াইলের উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করে মাশরাফি। এমপি হলে আরো ভালো কাজ করতে পারবে।’
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে নড়াইলে কোনো উন্নয়ন হয়নি। আমরা চাইছি একজন ভালো, যোগ্য লোক আসুক।’ মাশরাফিকে রাজনীতিতে স্বাগত জানিয়ে অন্য একজন বলেন, ‘নড়াইল দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। মাশরাফি এমপি হলে নড়াইলের চিত্র পাল্টে যাবে।’
নড়াইল-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শেখ হাফিজুর রহমান। তিনি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি।
ওয়ার্কার্স পার্টির নড়াইল জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘১৪ দলীয় জোট যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই আমরা মাথা পেতে নেব। আমাদের প্রার্থী ছিলেন শেখ হাফিজুর রহমান। তিনি হলে আমরা খুশি হতাম। তবে মাশরাফি যদি প্রার্থী হয়, জানপ্রাণ লড়াই এবং সংগ্রাম করে তাঁকে বিজয়ী করার জন্য চেষ্টা করব।’
জানা যায়, মাশরাফির নির্বাচন করার খবরে আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ব্যাপক খুশি। তবে জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা এ বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।