সিরাজগঞ্জে সংঘর্ষ, পুলিশ-সাংবাদিকসহ আহত ২৫

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশ-সাংবাদিকসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার উপজেলার জুগনিদহ ও পারকোলা গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় বগুড়া-নগরবাড়ী সড়ক দিয়ে তিন ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। সংঘর্ষ চলাকালে বাড়ি ভাঙচুর ও খড়ের গাদায় আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। পরে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আধিপত্য নিয়ে উভয় গ্রামের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। কোরবানির ঈদের আগের দিন পারকোলা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে আলমাস আলী জুগনিদহ গ্রামের রয়েজ ফকিরের ছেলে মজনু মিয়াকে মারপিট করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে পারকোলা বাজারে সালিস হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু বৈঠকের আগে দুপুরে পারকোলা বাজারে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পুলিশের সঙ্গেও তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।
গ্রামবাসীদের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম জানান, গ্রামবাসীর হামলায় কনস্টেবল শরিফ হোসেনসহ চার পুলিশ আহত হন। এ সময় যুগান্তর পত্রিকার শাহজাদপুর প্রতিনিধি মুমিদুজ্জামান গুরুতর আহত হন। তাঁর সেলফোনটিও ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
পরে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়লে সবাই মহাসড়ক থেকে সরে যায়। এর পর থেকে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানান ওসি। তিনি আরো জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে আনসার আলী (৩৫), শফিকুল ইসলাম (৪০), নজরুল (২০), জলিলের (২৪) নাম জানা গেছে।
শাহজাদপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম আহমেদ জানান, সবাইকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।