‘রামুকাণ্ডের বিচার না হলে সাম্প্রদায়িকতার পুনরুত্থান ঘটবে’

কক্সবাজারের রামু উপজেলায় বৌদ্ধ বিহারে হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচার অবশ্যই হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রামু সহিংসতা স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুলতানা কামাল এসব কথা বলেন।
২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে রামু উপজেলার ১৯টি বৌদ্ধ বিহার ও প্রায় ৩০টি বসতঘরে হামলা চালিয়ে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় আরো শতাধিক বসতঘরে।
বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে সাম্প্রদায়িক হামলার তিন বছর স্মরণে আজ রামুতে মহাসংঘদান, চিত্রপ্রদর্শনী ও শান্তি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন, ’৭৫-এর পর অনেক বছর অতিবাহিত হলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচার শুরু হয়েছিল। বিচারও হয়েছে। অপরাধীকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তবেই ইতিহাসের দায় মোচন হবে। রামুর সহিংসতার ঘটনার বিচার না হলে সাম্প্রদায়িকতার পুনরুত্থান ঘটতে পারে।’
বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার প্রাক্তন সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত সত্যপ্রিয় মহাথেরর সভাপতিত্বে ও প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষুর সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ সাইমুম সরওয়ার কমল, রামু উপজেলার চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, আইনজীবী মিনা গোস্বামী, অধ্যাপক অরবিন্দু বড়ুয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ যুব পরিষদের আহ্বায়ক রজত বড়ুয়া রিকু।
সভা শেষে সন্ধায় বিশ্ব শান্তি কামনায় বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণে হাজারো প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়।