সাতক্ষীরায় ২২ প্রার্থীর ১৭ জন জামানত হারালেন
যথেষ্ট সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনের ২২ প্রার্থীর মধ্যে ১৭ জনই তাদের জামানত হারিয়েছেন। গতকাল ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটযুদ্ধে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়েছেন তাঁরা।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা-১ (তালা ও কলারোয়া) আসনে সাতজন প্রার্থীর অনুকূলে তিন লাখ ৫৪ হাজার ৮১০ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে কেবল বিজয়ী মহাজোট প্রার্থী মুস্তফা লুৎফুল্লাহর জামানত রক্ষা হলেও বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জাতীয় পার্টির সৈয়দ দীদার বখত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আছাদুল হক, বাম গণতান্ত্রিক জোটের আজিজুর রহমান, এনপিপির আব্দুর রশিদ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সিংহ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সরদার মুজিবের।
সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনে মোট ভোট পড়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ১৭২টি। এর মধ্যে বিজয়ী মহাজোট প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ও তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জামায়াতনেতা আব্দুল খালেকের জামানত রক্ষা হয়েছে। তবে বাতিল হয়েছে জাতীয় পার্টির মাতলুব হোসেন লিয়ন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাসদের নিত্যানন্দ সরকার ও এনপিপির জুলফিকার আলীর জামানত।
অন্যদিকে সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি, দেবহাটা ও কালীগঞ্জ আংশিক) আসনে ভোট পড়েছে তিন লাখ ৩৩ হাজার ১১৮টি। এখানে বিজয়ী মহাজোট প্রার্থী ডা. আ ফ ম রুহুল হকের জামানত রক্ষা হলেও বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিএনপির ডা. শহিদুল আলম ও হাতপাখা প্রতীকের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ইসহাক আলীর জামানত।
অপরদিকে সাতক্ষীরা-৪ (কালীগঞ্জ আংশিক ও শ্যামনগর) আসনে ভোট পড়েছে দুই লাখ ৮৫ হাজার ৯৯২টি। এর মধ্যে কেবল বিজয়ী মহাজোট প্রার্থী এস এম জগলুল হায়দারের জামানত রক্ষা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াতনেতা জি এম নজরুল ইসলাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুল করিম, জাতীয় পার্টির আব্দুস সাত্তার মোড়ল ও বাঘ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী পিডিপির রবিউল ইসলাম জোয়ারদারের জামানত।