পুত্রবধূ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন খুলনার সাবেক সংসদ সদস্য মোল্লা জালাল উদ্দিন। মামলায় জালালের ভাতিজা হেদায়েতকে আসামি করা হয়েছে। তিনি ঘটনার পর থেকেই পলাতক আছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনার ১৮ ঘণ্টা পর সাবেক সংসদ সদস্য মোল্লা জালাল উদ্দিন খুলনা মডেল থানায় এ মামলা করেন। গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ লাইন ইস্ট লেনে সংসদ সদস্যের নিজ বাসভবনে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

খুলনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস এনটিভি অনলাইনকে জানান, খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মোল্লা জালাল নিজে বাদী হয়ে কম্পিউটারে টাইপ করা এজহারের কপি থানায় দাখিল করেছেন। মামলায় একমাত্র আসামি হিসেবে হেদায়েতের নাম রয়েছে।

মামলার এজাহারে অসাবধানবশত শটগান থেকে গুলি বের হয়ে রাব্বি সুলতানা লিপি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে পরিবারিক সূত্রে জানানো হয়েছে, স্বামী কামাল উদ্দিন হেলাল সৌদি আরব থেকে আসার পর নিহত রাব্বি সুলতানা লিপির দাফন সম্পন্ন হবে। এ সময় পর্যন্ত মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরেই রাখা হবে।

এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে খুলনা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনাস্থলে গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সাবেক এমপি মোল্লা জালাল উদ্দিন তাঁদের জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে  ছেলে হেলাল উদ্দিন (নিহত গৃহবধূর স্বামী) হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে গেছেন। তাঁরা এখনো ফিরেননি। আজ (বুধবার) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর লাইসেন্স করা শটগান নিয়ে নাড়াচাড়া করছিলেন ভাতিজা হেদায়েত। ওই সময় একটি গুলি বের হয়ে তাঁর পুত্রবধূ লিপির মাথায় বিদ্ধ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পুত্রবধূর মৃত্যু হয়।

ঘটনার পর পুলিশ আসার আগেই হেদায়েত পালিয়ে যান। নিহত গৃহবধূর একটি মাত্র সন্তান রয়েছে। তার নাম রাফসান।