খুঁটিতে বাঁধা স্কুলছাত্রীর লাশ, ধর্ষণের অভিযোগ

বাবা বাজার থেকে মাছ কিনে ফোন দিয়েছিলেন। ওই মাছ আনতে সোমবার সকাল ৮টার দিকে গাজীপুরের পুবাইল বাজারের দিকে রওনা হয় ১০ বছরের মেয়ে সান্ত্বনা রবিদাস। বেলা ১১টার দিকে পুবাইলের পথে সাপমারা এলাকায় বাঁশঝাড়ের নিচে সান্ত্বনার লাশ পাওয়া যায়। নিথর দেহ গলায় ওড়না দিয়ে খুঁটির সঙ্গে বাঁধা ছিল।
নিহত সান্ত্বনা পুবাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। তার বাবা নিরঞ্জন রবিদাস পেশায় একজন মুচি। তিনি দাবি করেছেন, ধর্ষণের পর তাঁর মেয়ে সান্ত্বনাকে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে জয়দেবপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, বেলা ১১টার দিকে সাপমারা এলাকায় একটি বাঁশঝাড়ে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় খুঁটির সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় শিশুটির লাশ দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেয়।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা ধর্ষণ কিংবা ধর্ষণের চেষ্টার পর শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’
জয়দেবপুর থানার পুলিশ সান্ত্বনার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আবদুস সালাম সরকার বলেন, ‘মেয়েটির গলায় দাগ আছে। তবে ধর্ষিত হয়েছে কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে।’
সান্ত্বনার বাবা নিরঞ্জন রবিদাস বলেন, ‘আমার মাইয়্যাটারে মাইরা ফালাইছে। সকাল বেলা (সান্ত্বনাকে) ফোন দিয়া কইসি, মা আসো বাজারটা নিয়া যাও। মাছ কিনছি। মাছটা নিতে আসছে। এর মধ্যে তারা রাস্তায় ধর্ষণ করে মেয়েটারে মেরে ফেলছে। মেয়েটা সব সময় পড়ত, স্কুলে যেত। আমার বিচারটা কইরা দেন।’