স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে অর্জিত ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক

স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শ্যাম ঘোষ নামে এক ব্যক্তির সম্পত্তি ক্রোক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার (১ অক্টোবর) এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বর্ণ চোরাকারবারের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শ্যাম ঘোষের বিরুদ্ধে ডিএমপি কোতয়ালী থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, শ্যাম ঘোষ একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তার কর্মজীবনের শুরুতে তিনি ঢাকার সূত্রাপুরে তার পিতার হোটেলে কাজ করতেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্বর্ণের দোকানে চাকরির মাধ্যমে তিনি অবৈধভাবে পাওয়া স্বর্ণ কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ক্রয়-বিক্রয় করেছেন এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস গোপন করেছেন।
এতে আরও বলা হয়, তদন্তে আরও উঠে এসেছে, স্বর্ণ চোরাকারবারের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে শ্যাম ঘোষ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ফ্ল্যাট ও দোকান ক্রয় করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো যমুনা ফিউচার পার্কের ছয়তলার সি ব্লকে তিনটি দোকান এবং ‘ইন্ডিয়ান ডোমেস্টিক স্পাই’ নামক রেস্টুরেন্ট। এ ছাড়া কোতয়ালী থানাধীন ওয়াইজঘাটে ‘বাবুলী স্টার সিটি’ ভবনের পঞ্চম তলায় একটি ফ্ল্যাট এবং স্বামীবাগের ‘স্বর্ণচাপা’ ভবনের ছয়তলায় নিজ ও তার ভাই যৌথ মালিকানাধীন ফ্ল্যাট রয়েছে। বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে ‘নন্দন জুয়েলার্স’ নামক স্বর্ণের দোকানও তার যৌথ মালিকানাধীন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র মহানগর স্পেশাল জজ আদালত গত ২৫ সেপ্টেম্বর শ্যাম ঘোষের সম্পত্তির ওপর ক্রোকাদেশ প্রদান করেন। ক্রোককৃত সম্পত্তি রক্ষণের জন্য পুলিশ কমিশনার ডিএমপি ঢাকাকে রিসিভার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
সিআইডি ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এ সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং মামলার তদন্ত অব্যাহত রেখেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।