সাকা চৌধুরীর রিভিউ আবেদন
রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করলেন মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রিভিউ আবেদন করা হয় বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী হোজ্জাতুল ইসলাম আল ফাসানী।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর নিয়ম অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে আজ এ রিভিউ আবেদন করলেন সাকা চৌধুরী। এ আবেদন খারিজ হয়ে গেলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে আর কোনো বাধা থাকবে না।
গত ২৯ জুলাই মানবতাবিরোধী অপরাধে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের দিয়ে চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরা গ্রামে শতাধিক হিন্দুকে হত্যা, রাউজানের গহিরা শ্রী কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মালিক নূতন চন্দ্র সিংহকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা, হিন্দু অধ্যুষিত জগৎমল্লপাড়ায় ৩২ জন নারী-পুরুষকে হত্যা, রাউজানের সুলতানপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে নেপাল চন্দ্র ধর, মনীন্দ্র লাল ধর, উপেন্দ্র লাল ধরকে গুলি করে হত্যা ও অনিল বরণ ধরকে আহত করা, রাউজানের ঊনসত্তরপাড়ায় ক্ষীতিশ মহাজনের বাড়ির পেছনে পুকুরপাড়ে হিন্দু নর-নারীদের হত্যা, চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মোজাফফর আহম্মদ ও তাঁর ছেলে শেখ আলমগীরসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে পাকিস্তানি সেনাক্যাম্পে নিয়ে হত্যা, কোতোয়ালি থানার হাজারী লেনের জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পোড়োবাড়ি থেকে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ, সিরাজ ও ওয়াহেদ ওরফে ঝুনু পাগলাকে অপহরণ ও নির্যাতন, গুডস হিলের নির্যাতন সেলে সালেহ উদ্দিন নামের একজনকে নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এই রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৯ অক্টোবর আপিল করেন তিনি।
হরতালের আগের রাতে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হন সাকা চৌধুরী। এর পর ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।