কলেজছাত্রী শম্পা হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে কলেজছাত্রী হাবিবা আক্তার শম্পা হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মিয়াজী শহিদুল আলম চৌধুরী এ আদেশ দেন। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি তৌহিদ পলাতক রয়েছেন। তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জারিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের একটি সূত্র এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মামলায় বলা হয়, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকার সিঙ্গাপুর প্রবাসী নাসির উদ্দিনের স্ত্রী তাসলিমা বেগম তাঁর বোনের ছেলে তৌহিদকে এক লাখ টাকা ধার দেন। তাসলিমা টাকা ফেরত চাইলে তৌহিদ টালবাহানা শুরু করেন। ২৮ এপ্রিল রাতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তৌহিদ তাসলিমার বাড়িতে এসে খাওয়া-দাওয়া করে একপর্যায়ে তাসলিমা ও তাঁর মেয়ে হাবিবা আক্তার শম্পাকে কুপিয়ে ঘরের দরজা বাইরে দিয়ে তালা মেরে পালিয়ে যান।
পরের দিন সকালে তাসলিমা ও হাবিবার সাড়াশব্দ না পেলে আত্মীয়স্বজনদের সন্দেহ হয়। তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তালা ভেঙে ভেতর থেকে হাবিবার লাশ ও তাসলিমাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে।
হাবিবা আক্তার শম্পা কদম রসুল ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
এ ঘটনায় হাবিবার বাবা বাদী হয়ে তৌহিদকে আসামি করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তৌহিদকে গ্রেপ্তারের পর হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
পরে তৌহিদ উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে পালিয়ে যান। পুলিশ এ মামলায় তৌহিদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। আদালত ১৪ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে এ মামলায় রায় দেন।