সাতক্ষীরায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে টানা তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ এবং স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দুই ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

গতকাল রোববার দিনভর ভোট শেষে এ বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

জেলা নির্বাচন অফিস জানায়, আশাশুনি উপজেলায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এ বি এম  মোস্তাকিম ৭৫ হাজার ৫১৩ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী শহিদুল ইসলাম পিন্টু পেয়েছেন ৪০ হাজার ১৪১ ভোট। এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো উপজেলা নির্বাচনে জয়লাভ করলেন নৌকার এ প্রার্থী।

তালা উপজেলায় ৫০ হাজার ৮৪০ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগের ঘোষ সনৎ কুমার। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম এম ফজলুল হক পান ৪৮ হাজার ৫৫৬ ভোট। ঘোষ সনৎ কুমারও টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হলেন।

শ্যামনগরে ৭২ হাজার ৩২৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগের এস এম আতাউল হক দোলন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান গনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৯০ ভোট।

সদর উপজেলায় ৬২ হাজার ৭৭৩ ভোট পেয়ে জয় নিশ্চিত করেন আওয়ামী লীগের আসাদুজ্জামান বাবু। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এস এম শওকত হোসেন পান ৩৪ হাজার ৩৫৮ ভোট।

দেবহাটা উপজেলায় ২৪ হাজার ৭৬৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আবদুল গনি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম মোস্তফা পেয়েছেন ১৬ হাজার ২৯৫ ভোট।

এদিকে কলারোয়া ও কালিগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী দুই প্রার্থী।

নির্বাচন অফিস জানায়, ৭১ হাজার ৭৯৭ ভোট পেয়ে কলারোয়ায় জিতেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম লাল্টু। বিপরীতে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ফিরোজ আহমেদ স্বপন পেয়েছেন ৩৭ হাজার ২১১ ভোট।

একইভাবে কালিগঞ্জ উপজেলায় ৫৬ হাজার ৮৩৮ ভোট পেয়ে বিজয় নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাঈদ মেহেদি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মেহেদি হাসান পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৭৬৬  ভোট।