অধ্যক্ষ সাতদিন, শিক্ষক ও সহপাঠী পাঁচদিনের রিমান্ডে

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার মামলায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে সাতদিন, শিক্ষক আফসার উদ্দিন ও সহপাঠী আরিফুলকে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার মামলার প্রধান আসামি সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা, শিক্ষক আফছার ও শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সরফ উদ্দিন অধ্যক্ষকে সাতদিন, শিক্ষক আফসার ও শিক্ষার্থী আরিফকে পাঁচদিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
এদিকে এ ঘটনায় সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) মো. মোয়জ্জেম হোসেনকে প্রত্যাহার করে ফেনী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে মামলাটির তদন্তের কাজ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে ন্যস্ত করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাগাজী থানার পরিদর্শক কামাল হোসেন বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জোবায়ের এবং সন্দেহভাজন হিসেবে আটক অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার শ্যালিকার মেয়ে উম্মে সুলতানা পপিকে আদালতে তুলে সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। বিচারক আগামীকাল শুনানির দিন ধার্য করে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে যে আটজনের নাম উল্লেখ রয়েছে তার মধ্যে তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ পর্যন্ত অজ্ঞাতনামাসহ আটক সাতজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রিমান্ডের আদেশের পর উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দেন আসামি আফসার উদ্দিনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী বুলবুল আহম্মদ।
নুসরাত এবার সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা থেকে আলিম (এইচএসসি সমমান) পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। তিনি সোনাগাজীর উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের মাওলানা এ কে এম মুসা মানিকের মেয়ে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়।