‘ঘুষ নেওয়ার সময়’ খাদ্য নিয়ন্ত্রক আটক

ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে নওগাঁ সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলীকে আটক করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে দুদক রাজশাহীর একটি দল তাঁকে ঘুষের ৫০ হাজার টাকাসহ আটক করে বলে জানিয়েছে।
আটক মোহাম্মদ আলীর বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায়। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে নওগাঁ সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
দুদক সূত্র জানায়, সরকারি খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহের পে অর্ডার ফেরত দিতে নওগাঁ সদর চাল কল মালিক গ্রুপের সিনিয়র সহ-সভাপতি নওগাঁ সদর উপজেলার সৌরভ চাল কলের স্বত্বাধিকারী মো. শফিকুল ইসলাম নাথুর কাছ থেকে আজ বিকেলে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেন মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে সঙ্গে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের ভেতরে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কক্ষ থেকে মোহাম্মদ আলীকে টাকাসহ আটক করে দুদক।
দুদক রাজশাহীর সহকারী পরিচালক রাজিয়া সুলতানা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁরা জানতে পারেন নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের ভেতরে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে অবৈধ লেনদেন হবে। এ ধরনের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুদক রাজশাহী কার্যালয়ের উপপরিচালক খায়রুল হুদার নেতৃত্বে একটি দল বিকেল ৫টার দিকে সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে চলাকালে সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকে অবৈধ লেনদেনের ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করে। পে অর্ডার ফেরত দেওয়ার জন্য তিনি এই টাকা সৌরভ চাল কলের স্বত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম নাথুর কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেন।
এ ব্যাপারে রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলীকে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন।
আটকের ব্যাপারে নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আনোয়ার হোসেনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি অফিসে ছিলাম না। তবে, শুনেছি যে এক চাল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় দুদক সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।’
এ ব্যাপারে ঘুষ ‘প্রদানকারী’ সৌরভ চাল কলের স্বত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম নাথুর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।