ডাকাতির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় কুমিল্লায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দারসহ ১৪ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার শাহ আলম দুলাল (৪০), মো. মনির হোসেন (৪০), মামুন মিয়া (২৪), মাহবুব আলম (৩৮), আলমগীর হোসেন (৩০), আল আমিন (৩২), কামাল হোসেন (৩২), মোশাররফ শরীফ (৩২), মো. সুমন (৩৩), মো. খোকন (৪০), আমামিন (২৫), মো. সোহেল (২৬), আউয়াল (৫০) ও নিহার বিশ্বাস (৪৮)।

পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর লালমাই থানায় দুটি ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর জেলা পুলিশ সমগ্র জেলায় গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, ডাকাত দলটি জেলার বাঙ্গরা থানা এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু বাঙ্গরা বাজার থানার পুলিশ টহল জোরদার করায় তারা ওই এলাকায় ডাকাতি করতে ব্যর্থ হয়। এরপর তারা দেবিদ্বার থানায় ডাকাতি করার সিদ্ধান্ত নেয়।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, ডাকাত দলটি একটি কালো রঙের হাইএস গাড়িতে করে রওনা দিয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলা বাড়ি এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে চেকপোস্ট স্থাপন করে। পুলিশের চেকপোস্ট দেখে ডাকাত দল গাড়ির দরজা খুলে ও জানালার কাঁচ ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের সর্দারসহ ১৪ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তারের সময় ডাকাতদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতরা জানায়, তারা এর আগে লালমাই এলাকায় তিনটি, বরুড়ায় একটি ও নবীনগর থানা এলাকায় একটিসহ মোট পাঁচবার ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। 

পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান আরও জানান, ডাকাতদের কাছ থেকে ৪ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একটি স্বর্ণের চেইন, এক জোড়া নুপুর ও নগদ বিশ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।