আবারও এ টি এম শামসুজ্জামানের মৃত্যুর গুজব, বিরক্ত পরিবার

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে গতকাল শনিবার রাতে এ টি এম শামসুজ্জামানের মিথ্যা মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়ে।
এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় ভীষণ বিরক্ত ও মর্মাহত হয়েছেন এ টি এম শামসুজ্জামানের পরিবার। এ বিষয়ে এ টি এম শামসুজ্জামানের স্ত্রী রুনি জামান আজ রোববার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এই নিয়ে ছয়বার তাঁর (এ টি এম শামসুজ্জামানের) মৃত্যুর গুজব হলো। কে বা কারা করছে এইসব? এটা অমানবিক ব্যাপার। আমরা কাল সারারাত ঘুমাতে পারিনি।’
এ টি এম শামসুজ্জামানের বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে রুনি জামান বলেন, ‘তাঁর লাইফ সাপোর্ট খোলা হয়েছে। আগের চেয়ে এখন ভালো আছেন, তবে শঙ্কামুক্ত নন। সবাই তাঁর জন্য দোয়া করবেন।’
বর্তমানে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান। অধ্যাপক মতিউল ইসলামের অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
মলমূত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত ২৬ এপ্রিল শুক্রবার রাতে অসুস্থ বোধ করেন এ টি এম শামসুজ্জামান। শ্বাসকষ্টও শুরু হয় তাঁর। এরপর সেদিন রাত ১১টায় পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বর্ষীয়ান এই অভিনেতাকে। গত ২৭ এপ্রিল দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তাঁর ফুসফুসে অস্ত্রোপচার করা হয়। ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দেওয়ার আশংকা তৈরি হয় তাঁর। এরপর ৩০ এপ্রিল তাঁকে প্রথম লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরে লাইফ সাপোর্ট খুললে আবারও অসুস্থবোধ করেন তিনি। ৬ মে আবারও তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়েছিল।
১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে ঢালিউডে যাত্রা শুরু হয় এ টি এম শামসুজ্জামানের। ‘জলছবি’ ছবিতে প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। ১৯৬৫ সালের দিকে অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৭৬ সালে আলোচনায় আসেন তিনি।
২০১৫ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক পান গুণী এই অভিনেতা। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচবার। এ টি এম শামসুজ্জামান অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো ‘লাঠিয়াল’, ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’, ‘দায়ী কে?’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’ ইত্যদি।