খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে থেকে ‘নূর হোসেন’ আটক

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের সামনে থেকে আজ বৃহস্পতিবার এক যুবককে আটক করা হয়েছে। বেলা আড়াইটার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বুক ও পিঠে ‘শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাই’ ও ‘গণতন্ত্রের মুক্তি চাই’ স্লোগান লেখা ২৮ বছর বয়সী এই যুবককে আটক করেন।
ওই যুবকের নাম দেলোয়ার হোসেন নূর। বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান এনটিভি অনলাইনকে জানান, তিনি এসেছিলেন গাজীপুরের কালীগঞ্জ থেকে। তাঁর বুক-পিঠে নব্বইয়ের গণ-আন্দোলনের বীর নূর হোসেনের মতো ‘গণতন্ত্র মুক্তির’ স্লোগান লেখা ছিল।
শায়রুল কবির বলেন, আজ দুপুর আড়াইটার দিকে যুবক নূর খালি গায়ে বুকে ও পিঠে স্লোগান লিখে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান। নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে এ প্রতিবাদ শুরু করার কয়েক মিনিটের মধ্যে গুলশান থানার পুলিশ তাঁকে আটক করে। তিনি বলেন, ‘তাকে আটক করতে দেখে আমি চিৎকার করে উঠি। বলি কেন তাকে আটক করছেন?’ তারপরও পুলিশ ওকে নিয়ে যেতে থাকলে আমি এগিয়ে আসি। ছেলেটি তখন আমার দিকে হাত বাড়ায়। কিন্তু হাত ধরতে পারি নাই। তার আগেই পুলিশ তাঁকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়।’
আটকের আগে গুলশান কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে নূর প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সঙ্গে সংলাপে বসুন, অবিলম্বে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিন এবং পদত্যাগ করুন। কারণ আপনি পদত্যাগ করলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে, এ ছাড়া নয়।’
রাত ৮টায় গুলশান থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হুসনা আফরোজ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আটক যুবক দেলোয়ার হোসেন নূরের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
শায়রুল কবির খান বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য যুবক নূরের এই সংগ্রামের কথা এবং তাঁর ছবি আমি বিএনপির চেয়ারপারসনকে দেখিয়েছি। তিনি এই গণতন্ত্রকামী যুবকটিকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিবাদন জানিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ বুকে পিঠে এমন স্লোগান লিখে রাজপথে মিছিল করে পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছিলেন নূর হোসেন নামের এক যুবক। ২০১৫ সালে এসে সেই নূর হোসেনের মতোই বুকে-পিঠে স্লোগান লিখে আটক হলেন আরেক নূর হোসেন।
এর আগেও গত ৫ জানুয়ারি বুকে-পিঠে গণতন্ত্র মুক্তির স্লোগান লিখে রাজধানীর নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে নূর পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি তিনি ছাড়া পান।