কোটি টাকার মুদ্রা নিয়ে বিপাকে বেকারি মালিকরা

যশোরে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলো এক টাকা, দুই টাকা ও পাঁচ টাকার ধাতব মুদ্রা জমা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বেকারি মালিকরা। এতে জেলার প্রায় ১০০ বেকারি মালিকের কোটি টাকার বেশি মুদ্রা জমে গেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব মুদ্রার কোনো ব্যবস্থা না করলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন বেকারি মালিকরা।
আজ রোববার সকালে জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই হুমকি দেন যশোর জেলা বেকারি মালিক সমিতির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। এ সময় অন্যদের মধ্যে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সিদ্দিকুর রহমান জানান, তাঁদের বেকারিতে উৎপাদিত বেশির ভাগ খাদ্যপণ্যের খুচরা মূল্য এক টাকা, দুই টাকা, তিন টাকা ও পাঁচ টাকা। ফলে বাধ্য হয়েই তাঁদের বেশির ভাগ লেনদেন মুদ্রার মাধ্যমে করতে হয়। এরই মধ্যে তাঁদের কাছে কোটি টাকার বেশি মুদ্রা জমে গেছে। কেননা, সোনালী ব্যাংক মুদ্রাগুলো জমা নিচ্ছে না। এ কারণে বেসরকারি ব্যাংকগুলোও মুদ্রা জমা নিচ্ছে না। বেসরকারি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের যুক্তি, তারা মুদ্রাগুলো নিয়ে কোথায় জমা দেবে?
সিদ্দিকুর রহমান জানান, বিষয়টির সুরাহা করতে ১১ অক্টোবর সমিতির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। বিপুল পরিমাণ এই ধাতব মুদ্রার কোনো গতি না করলে এক সপ্তাহের মধ্যে সব বেকারি বন্ধ হয়ে যাবে। তখন তাঁরা বাধ্য হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে চলে যাবেন।
এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক যশোর করপোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) সাজ্জাদুল আলম বলেন, ‘আমরা ধাতব মুদ্রা একেবারে নিচ্ছি না, তা ঠিক নয়। যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের কাছ থেকে সীমিত আকারে ধাতব মুদ্রা নিচ্ছে, আমরাও সীমিত আকারে নিচ্ছি। কেউ ২০০ ধাতব মুদ্রা আনলে তার মধ্যে ১০০ জমা নিচ্ছি।’