মেহেরপুরের রাশেদা হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়ার গৃহবধূ রাশেদা বেগম (২৫) হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক টি এম মুসা ওই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের মিয়ারুল ইসলাম, কাবিদুল ইসলাম ও সেন্টু মিয়া। তিনজনকেই জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গাংনী উপজেলার চেংগাড়া গ্রামের প্রবাসী আবুল বাসারের স্ত্রী রাশেদা বেগম মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে দণ্ডপ্রাপ্ত এ তিনজনের সঙ্গে রাশেদা পর্যায়ক্রমে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এর জের ধরে ওই তিন ব্যক্তি তাঁকে শ্বাসরোধে খুন করে মাটি চাপা দেয়। এর কয়েকদিন পর ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যাদপুর মাঠ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলার বিবরণে আরো জানা যায়, সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) জিহাদ আলী বাদী হয়ে লাশ উদ্ধারের দিন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইলের সিমকার্ডের সূত্র ধরে কাবিদুল ও সেন্টুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ওই বছরের ১০ মে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ আলীর আদালতে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেয় এ দুই আসামি। তাদের জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে মিয়ারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ওই বছরের ২৮ আগস্ট তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ আদালত ওই রায় দেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী শহিদুল হক।