৩-৪ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প দৃষ্টান্ত হবে

বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মহাসচিব তালেব রিফাই বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও পর্যটনমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে দৃঢ়ভাবে কাজ করছেন। আমরাও বাংলাদেশকে সহযোগিতা করব। আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সুন্দরবন পরিদর্শন শেষে দিগরাজ নৌঘাটিতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তালেব রিফাই। তিনি আরো বলেন, গত দুইদিনে বাংলাদেশে আমাদের অভিজ্ঞতা খুবই প্রীতিকর, যা আমাদের সারাজীবন মনে থাকবে।
এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, সুন্দরবনের পর্যটনশিল্প বিকাশের জন্য মংলা বন্দরে থ্রি-স্টার হোটেল, খানজাহান আলী বিমানবন্দরের পাশে ফাইভ স্টার হোটেল নির্মাণ করা হবে।
তালেব রিফাই ও রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে সুন্দরবন পরিদর্শনে আসেন চীন, ভুটান, ভারত, কম্বোডিয়া, আফগানিস্তান, নেপাল ও ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামের পর্যটনমন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ২০ সদস্যের একটি দল।
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন কম্বোডিয়ার পর্যটনমন্ত্রী টপ সোফেক, আফগানিস্তানের পর্যটনমন্ত্রী আব্দুল বারী জাহানী, ভুটানের পর্যটনমন্ত্রী লিয়নপো নরভো ওয়াং চুক, চীনের পর্যটন সংস্থার পরিচালক লাই কোওয়ানগো, ভারতের পর্যটন সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক শ্রীভেন্ট সঞ্জয়, ভিয়েতনামের পর্যটন সংস্থার মহাপরিচালক তারান দিনহ তানহ, নেপালের রাষ্ট্রদূত আমপেমা চোডেন, আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত আ. রহিম ওরাজ, বাংলাদেশের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী, পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরী, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ, বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার প্রমুখ।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হেলিকপ্টারে করে কক্সবাজার থেকে মংলার দিগরাজ নৌঘাটিতে আসেন। পরে সেখান থেকে একটি বিলাস বহুল লঞ্চে সুন্দরবন ভ্রমণ শেষে বিকেলেই তাঁরা ঢাকার উদ্দেশ্যে মংলা ত্যাগ করেন।