মামুনকে খালাস দেওয়া রায় বাতিল
ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় হাইকোর্টের খালাস আদেশ বাতিল করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর পাশাপাশি মামলাটির পুনঃশুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেত্বত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ দুদকের আপিলের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
মামুনের পক্ষে অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান শুনানিতে অংশ নেন।
এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দুদকের দায়ের করা মামলায় গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে ২০১২ সালের ৩০ জুলাই হাইকোর্ট খালাস দিয়েছিলেন। আজ আপিল বিভাগ ওই রায় বাতিল করে পুনরায় শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন। ওই রায়ে মামুনের সাবেক স্ত্রী শাহিনা ইয়াসমিনকেও খালাস দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে আরেকটি লিভ টু আপিল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।’
গিয়াসউদ্দিন আল-মামুন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পরিচিত। মুদ্রা পাচারের একটি মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড চলছে তাঁর।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ৫০ ব্যক্তির সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেয় দুদক। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের সম্পদের হিসাব দাখিল করতে বলা হয়। ওই নোটিশের জবাবে সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় ৮ মে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামুন ও শাহিনার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় মামুনের বিরুদ্ধে ১০১ কোটি ৭৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬৯ টাকা এবং শাহিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে নয় কোটি ২২ লাখ ৭৯ হাজার ৫৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
ওই বছরের ২৪ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের আরেক সহকারী পরিচালক সৈয়দ তাহসিনুল হক। মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত মামুনকে ১০ বছর ও শাহিনাকে তিন বছরের দণ্ড দেন।
মামুন ও শাহিনা ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ ২০১২ সালে তাঁদের খালাস দেন।