মামুনের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে মামলা চলবে
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে দুদকের করা অর্থ পাচার মামলায় দুজন সাক্ষীকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
একই সঙ্গে এ দুজনের সাক্ষ্য বাতিলে হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
ফলে দুজন এ মামলায় আসামি থাকার পাশাপাশি তাঁদের দেওয়া সাক্ষ্যও বহাল থাকল বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী।
দুদকের করা এক আবেদনের নিষ্পত্তি করে আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন—বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি বজলুর রহমান।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। মামুনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুবউদ্দিন খোকন।
পরে খুরশীদ আলম খান জানান, মামলাটি এখন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এ সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে এ মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই। এ ছাড়া এ আদেশের ফলে ওই দুজন আসামিও থাকবেন। আবার তাঁদের দেওয়া সাক্ষ্যও এ মামলায় ব্যবহার করা যাবে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলীর পাওয়া রেলের সিগন্যাল আধুনিকায়নের কাজ বাতিলের হুমকি দিয়ে মামুন ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে প্রায় ছয় কোটি এক লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা 'কমিশন' আদায় করেন। ওই অর্থ তিনি কয়েক দফায় লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের একটি শাখায় পাচার করেন।
এ মামলায় মামুনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ৩১ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করা হয়। এর পর সাক্ষ্য নেওয়ার মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন মামুন। হাইকোর্ট মামলা বাতিল না করে এ মামলার সাক্ষী এম শাহজাদ আলী ও তাঁর স্ত্রী তাহমিনা আলীর দেওয়া সাক্ষ্য বাতিল করে দুজনকে আসামি করার নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে যায় দুদক। বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ দুদকের আবেদনের নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন।