পুলিশের ওপর হামলা মামলায় ছাত্রলীগের ২২ নেতা-কর্মীর জামিন

নীলফামারীতে সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলা মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি ছাত্রলীগের ২২ নেতা-কর্মীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। জেলার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মোতাহারাত আখতার ভূঁইয়া আজ সোমবার ওই জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়া নেতা-কর্মীরা হলেন জেলার ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক উত্তর কুমার, ফেরদৌস পারভেজ, শাহিন, তৈয়বুল, আলিমুন, লেবু, রুবেল, সোহাগ, মুসফিকুর রহমান, সায়েম, এনামুল, মিঠু, মিজান, সুভাস, সুমন, কৃষ্ণ রঞ্জন, দীপক কুমার, মধু, আমিনুর, রুবেল টেকো, আখতারুল ও দুলাল।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৬ এপ্রিল বিকেলে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ যৌথভাবে রেজিস্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেল আটক করে জরিমানা আদায় করছিল। এ সময় ছাত্রলীগকর্মী লেবুর রেজিস্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেলটি আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে পুলিশের সরকারি কাজে বাধা দেয় এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় এ সময় বেশ কিছু পুলিশ সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ ফাঁকা গুলি চালালে আসামিরা পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় ডিমলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু নাসের রায়হান বাদী হয়ে ১৪৩/৩৩২/৩৫৩ ধারায় ডিমলা থানায় একটি মামলা করে। মামলা নম্বর : ১০, তারিখ : ২৬/০৪/২০১৪।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিমলা থানার এসআই আবদুল লতিফ দীর্ঘ তদন্ত শেষে ওই ঘটনায় চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আজ সোমবার ওই মামলার সব আসামিকে হাজিরার জন্য সমনজারি করেছিলেন। সমনজারির পর আজ সোমবার বেলা ১১টায় ওই মামলার ২৮ জন আসামির মধ্যে ২২ জন আসামি অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মোতাহারাত আখতার ভূঁইয়ার আদালতে আত্মসর্মপন করে জামিন চাইলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি মামলার অপর চার আসামি আলমগীর কবির, শাহ আলম, আবদুস সালাম ও সূর্য রায় পলাতক থাকায় আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ ছাড়া এই মামলায় অপর দুই আসামি যথাক্রমে সাইফুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম ঘটনার পর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁরা বেশ কিছুদিন হাজতবাসে থাকার পর আদালত থেকে জামিন পান।
জেলা জজ কোটের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট অক্ষয় কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।