ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে বিক্ষোভ করার পর পুলিশের বাধার মুখে শেষ হয়েছে ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি।
বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটের সামনে থেকে আজ মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে রাজধানীর নয়াপল্টন মোড় পর্যন্ত এলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মীদের বাধা দেয় পুলিশ। এতে সেখানেই মিছিল শেষ করতে বাধ্য হয় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পুলিশের বাধার মুখে শেষ হয় এই বিক্ষোভ মিছিল।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার সময় দিকে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ক্রমে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীতে ভরে ওঠে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণ। ভারতে মুসলিম হত্যা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলের আগে এক সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন। এ সময় নানা স্লোগান দেন দলের কর্মীরা। এরপর সমাবেশ শেষে স্মারকলিপি প্রদানের উদ্দেশ্যে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে দলটি।
বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর নয়াপল্টন মোড় পর্যন্ত এলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মীদের বাধা দেয় পুলিশ।
চরমোনাই পীর এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘পুলিশ আমাদের যেতে দিচ্ছে না। তারা আমাদের অনুরোধ করেছে, যাতে আমরা এখানেই মিছিল শেষ করি। যাতায়াতের সুবিধার্থে তাই পল্টন মোড়েই মিছিল শেষ করেছি।’
‘তবে আমাদের একটি প্রতিনিধিদল ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি নিয়ে যাবে। সেখানে আমরা ভারত সরকারকে অনুরোধ করব, যাতে করে মুসলিম হত্যা ও নির্যাতন বন্ধ করা হয়। আর তা না হলে সমগ্র বিশ্বের মুসলিমদের সঙ্গে নিয়ে আমরা অন্য চিন্তাভাবনা করব,’ যোগ করেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
মতিঝিল জোনের এডিসি এস এম শিবলী নোমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রাস্তায় মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছিল। তাই মিছিলটি পল্টন মোড়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। এখন তারা রাস্তা ছেড়ে দিয়েছে।’
ভারতে মুসলিম হত্যা বন্ধের দাবিতে গত ৫ জুলাই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল এবং ১১ জুলাই গোলটেবিল বৈঠক ও ১৩ জুলাই সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন শেষে দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।