ঠাকুরগাঁওয়ে বাস দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড় খোঁচাবাড়ী এলাকায় বলাকা উদ্যানের সামনে নৈশকোচ ও মিনিবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে আরো দুজন মারা গেছেন। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জনে। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য জানিয়েছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন—বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার শহীদ আকবর আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের ছাত্র আবদুর রউফ (১৯) এবং ওই উপজেলার মিস্ত্রিপাড়া গ্রামের দবিরুল ইসলাম কমরেড (৬০)।
গতকাল শনিবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়। গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঠাকুরগাঁও-ঢাকা মহাসড়কে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত অন্যরা হলেন—বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ব্যাংরোল গ্রামের মোস্তফা (৪২) ও তাঁর স্ত্রী মনসুরা বেগম (৩৫), দিনাজপুরের কাহারোল এলাকার মঙ্গলী রানী (৬৩) ও জবা রানী (৩৫), বালিয়াডাঙ্গীর সনগাঁও গ্রামের আবদুর রহমান (৪০), সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবদুল মজিদ (৪২), বালিয়াডাঙ্গীর লাহিড়ীহাটের সরস্বতী সাহা (৫০), সদর উপজেলার দেবীডাঙ্গা গ্রামের ক্ষিতিশ বর্মণ (৪০), বালিয়াডাঙ্গীর লাহিড়ীহাটের কামরুন নেছা (৩২) এবং মধ্য বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের আনোয়ারা বেগম (৪৮)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে ‘ডিপজল এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি নৈশকোচ ঠাকুরগাঁও যাচ্ছিল। অন্যদিকে ‘নিশাত এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি যাত্রীবাহী মিনিবাস রংপুরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বড় খোঁচাবাড়ী এলাকার বলাকা উদ্যানের সামনে একটি ভটভটি ও একটি মোটরসাইকেলকে জায়গা দিতে গিয়ে নৈশকোচ ও মিনিবাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই মিনিবাসের চালকসহ পাঁচজন নিহত হন। আহত হন অন্তত ৩২ জন।
স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠান। পরে হাসপাতালে আরো দুজনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত ১১ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়। পরদিন হাসপাতালে মারা যান আরো দুজন।