মির্জা ফখরুলের পর গয়েশ্বর কারাগারে

রাজধানীর রামপুরা থানায় করা একটি হত্যা মামলায় বিএনপির নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এ আদেশ দেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় তাঁর আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়ার মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নাশকতার তিনটি মামলায় কারাগারে পাঠান আদালত।
গতকালই ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে রামপুরা থানার হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার দিন ধার্য ছিল। বিচারক অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে খোকা, গয়েশ্বরসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলায় খোকাসহ ১৪ জন পলাতক থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অন্যদিকে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ২১ জনের ব্যাপারে আইনজীবী কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা, সালাহ উদ্দিন আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, হাবিবুর রহমান হাবিব ও শফিকুল ইসলাম বাদশা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির একদিনের মধ্যে গয়েশ্বর আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর রামপুরা থানাধীন মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় বিএনপি-জামায়াতের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি পালনের সময় ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ওই ঘটনায় মানসুর প্রধানিয়া নামে একজন মারা যান। এ ঘটনায় একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল মামুন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
চলতি বছরের ২০ মার্চ রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মামুনুর রশিদ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।