নওগাঁয় চালককে হত্যা করে মাইক্রোবাস ছিনতাই

নওগাঁর রানীনগর উপজেলায় রহিদুল ইসলাম (৩৩) নামের এক চালককে হাত, পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যার পর মাইক্রোবাস ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে রানীনগর উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়নের ত্রিমোহনী সেতুর পশ্চিম পাশে একটি জলাশয়ে তাঁর হাত-পা ও মুখ বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। নিহত রহিদুল নওগাঁ শহরের আরজি-নওগাঁর উপশহর মহল্লার মৃত আক্কাছ আলীর ছেলে।
রানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল লতিফ খান বলেন, ১২ আসনের একটি মাইক্রোবাসের চালক রহিদুল ইসলাম গত রোববার রাতে রানীনগর রেলস্টেশন থেকে ঢাকায় ভাড়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মাইক্রো নিয়ে বাসা থেকে বের হন। এর পর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। রানীনগর উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়নের ত্রিমোহনী সেতুর পশ্চিম পাশে একটি জলাশয়ে তাঁর হাত-পা ও মুখ বাধা অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, সংঘবদ্ধ একটি চক্র কৌশলে মাইক্রোবাস ভাড়ার কথা বলে তাঁকে নির্জন ওই স্থানে নিয়ে হাত, পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যার পর মাইক্রোবাস ছিনতাই করে নিয়ে গেছে।
এদিকে নিহতের স্ত্রী রিতা জানান, রোববার বিকেলে অজ্ঞাত একটি ফোন নম্বর থেকে ফোন এলে ঢাকায় ভাড়া আছে বলে মাইক্রোবাস নিয়ে চলে যান তাঁর স্বামী। এর পর থেকে রহিদুলের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল।
মাইক্রোবাসটির মালিক নওগাঁ সদরের কালীতলা মহল্লার পার্থ সাহা জানান, রোববার রাত ১১টার দিকে রহিদুলের সঙ্গে মোবাইলে তাঁর শেষ কথা হয়েছে। এ সময় রহিদুল জানান, তিনি রানীনগর রেলগেটে আছেন। গাড়ি নিয়ে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাচ্ছেন যাত্রী আনতে। এর পর থেকে তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এই ঘটনায় রানীনগর থানায় নিহতের স্ত্রী রিতা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। এদিকে এই ঘটনায় জেলার মাইক্রোবাস চালকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
রানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল লতিফ খান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও ছিনতাই হওয়া মাইক্রোবাস উদ্ধারে জোর তৎপরতা চলছে।