পারিবারিক কলহের জের ধরে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ দুপুরে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক এ কে এম এনামুল হক এ আদেশ দেন। আসামি জালাল উদ্দিন এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে কাপাসিয়া উপজেলার চরখিরাটি গ্রামের জালাল উদ্দিনের সঙ্গে ফরিদপুরের নগরকান্দার মীরের গ্রামের ইউনুস মাতব্বরের মেয়ে কাকলী বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীর সংসারে বসবাস করছিলেন কাকলী। এ সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো। এর জের ধরে ২০০৯ সালের ২২ এপ্রিল রাতে নিজের বাড়িতে স্বামী জালাল উদ্দিন স্ত্রী কাকলীকে শারীরিক নির্যাতন করার পর শ্বাসরোধে হত্যা করেন। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন জালাল উদ্দিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

এরপর ২৩ এপ্রিল নিহত কাকলীর বাবা বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৪ অক্টোবর কাপাসিয়া থানার এসআই আজিজুল হক তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর আদালতে ১৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেন। দীর্ঘ শুনানির পর আজ মঙ্গলবার বিজ্ঞ আদালত জামাল উদ্দিনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেন। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকাও জরিমানা করা হয়।

মামলায় বাদীপক্ষে ছিলেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হারিছ উদ্দিন আহমদ আর আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন আকবরী।