আসিয়ান দেশগুলোতে পাটপণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় বাংলাদেশ

আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে ভারতের মতো বাংলাদেশও শুল্কমুক্ত সুবিধায় পাটজাত পণ্য রপ্তানি করতে চায়। সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
আজ বুধবার সকালে যশোরের অভয়নগরে আকিজ জুটমিল পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী।
মির্জা আজম বলেছেন, ‘আমরাও যেন ভারতের মতো আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে শুল্কমুক্ত সুবিধায় পাটজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি, সে জন্য চেষ্টা চলছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে তৎপরতা চালাচ্ছে। এ ছাড়া যেসব দেশে পাটজাত পণ্য রপ্তানি বন্ধ বা কম হচ্ছে, সেখানেও যাতে আবার রপ্তানি শুরু করা হয়, সে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
কাঁচা পাট রফতানি বন্ধের ঘোষণার কারণে এখন পর্যন্ত পাটের বাজার দর কমেনি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বরং পাটের দাম উঠতির দিকে আছে। বাজারদর যাতে স্থিতিশীল থাকে, সে কারণেই এক মাসের জন্য রপ্তানি বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা কিছু তথ্য অনুসন্ধান করছি। সঠিকভাবে তথ্যগুলো পেলে আমরা রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে পারি।’
পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে ম্যান্ডেটরি প্যাকিজিং অ্যাক্ট নামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দর একটি আইন করেছেন জানিয়ে মির্জা আজম বলেন, এর ফলে ধান, চাল, গম ভুট্টা, চিনি ও সার, এই ছয়টি পণ্যে বাধ্যতামূলকভাবে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে বছরে ৫৫ কোটি পাটজাত ব্যাগের প্রয়োজন হবে। এ ব্যাগ তৈরিতে প্রয়োজন হবে তিন লাখ টন পাট।
পাটজাত পণ্য এতদিন রপ্তানিনির্ভর ছিল তবে নতুন আইন কার্যকর হলে এখন অভ্যন্তরীণ বাজারেই এর ব্যাপক চাহিদা তৈরি হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। এর ফলে পাটকল মালিক, শ্রমিক এবং পাটচাষিদের সুদিন ফিরবে, তাদের মুখে হাসি ফুটবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মির্জা আজম।
এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আকিজ গ্রুপের চেয়ারম্যান শেখ নাসির উদ্দিন, অভয়নগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মেহনাজসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।