বুড়িগঙ্গায় ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ৫

নারায়ণগঞ্জের ডিক্রিরচর খেয়াঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচজন নিখোঁজ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ১০ যাত্রী।
আজ শনিবার সকাল ৬টার দিকে ফতুল্লার বক্তাবলী রাধানগরে লেংটা পাগলার ওরস থেকে নগরীর ডিক্রিরচর ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন সিদ্ধিরগঞ্জ পুলের মিজমিজি এলাকার সেলিম খান, তাঁর মেয়ে মৌসুমী আক্তার, ছেলে ইমন খান এবং কাদির মিয়া ও সেলিম ওস্তাদ। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টায় ফতুল্লার বক্তাবলি থেকে ৪০-৪৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার পশ্চিমপাড় থেকে পূর্বপাড় নগরীর ডিক্রিরচর আসছিল। নদীর মাঝামাঝি আসার পর একটি লঞ্চ ধাক্কা দিলে ট্রলারটি ডুবে যায়। বেশির ভাগ যাত্রী সাঁতরে দুই পাড়ে উঠতে পারলেও এখন পর্যন্ত পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছে।
নিখোঁজ সেলিম খানের স্ত্রী লুৎফা বেগম সাঁতরে পাড়ে উঠতে সক্ষম হন। তিনি বলেন, ‘আগের ট্রলারে অনেক লোক। বেশি লোক দেইখ্যা আমরা মেলার লোক আসি নাই যে ডুইব্যা যামু। পরেরটায় কম লোক। ওইটা দিয়ে আসতেছি। জাহাজ না কী একটা? জাহাজ অনেক ফুঁ দিতাছে। আমরা যাত্রীরা বলি, ভাই ট্রলার ছাইড়েন না। ট্রলারের চালক বলে, আপনারা চুপ থাকেন। মহিলারা বেশি কথা বলেন। এরপর ট্রলারটা ডুইব্যা গেল।’
ট্রলার ও নিখোঁজদের উদ্ধারে সদর মডেল থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বিকেল ৫টা পর্যন্ত অভিযান চালায়। আবার আগামীকাল ভোরে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হবে বলে জানা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই ) শাফিউল ইসলাম, সকাল ৬টার দিকে ট্রলারটি ডুবেছে। ট্রলারটিতে ৪০ থেকে ৫০ যাত্রী ছিল। নিখোঁজ রয়েছে পাঁচজন।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক দীনমনি শর্মা বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা এখানে আসি। ট্রলারটি শনাক্ত করা গেছে। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আপাতত উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামীকাল সকালে আবারও উদ্ধারকাজ শুরু করা হবে।’