বিষদাঁত ভেঙে দিচ্ছি, ভেঙে দেব : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কীভাবে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যান। এটা দেশের মানুষের সঙ্গে তামাশা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
urgentPhoto
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তান ও এ দেশে তাদের এজেন্টদের বিষদাঁত একে একে ভাঙা হচ্ছে, আগামীতেও ভেঙে দেওয়া হবে।
বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের এ আলোচনায় দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ করে বলেন, জিয়াউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সবসময় যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন। আর এখন কীভাবে বেগম জিয়া বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে যান, তা জানতে চান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের কারণে যার (আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ) ফাঁসি হলো এবং যে (মতিউর রহমান নিজামী) রায়ের অপেক্ষায়, তাঁদের যিনি (খালেদা জিয়া) মন্ত্রী বানান তিনি কোন মুখে গিয়ে আবার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা জানান। এটা মানুষের সাথে তামাশা করা ছাড়া আর কিছুই নয়, মানুষকে ধোকা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। উনি মনে করেন, বাংলাদেশের মানুষ কিছু বোঝে না। বাংলাদেশের মানুষ সবই বুঝতে পারে। আমি মনে করি মানুষকে এ ব্যাপারে আরো সচেতন হওয়া উচিত এবং কিছু কিছু মুক্তিযোদ্ধাকে দেখি তাঁর সাথে যায়। তাদের লজ্জা হওয়া উচিত, কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে যাচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, একেকটি যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে আর বাংলাদেশ একেক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে। তারপরও পাকিস্তানি ও তাদের এজেন্টদের ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব ষড়যন্ত্র সামনে নিয়েই বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের ষড়যন্ত্র চলছে, চলবে। কিন্তু এই ষড়যন্ত্র ভেদ করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে তারা আর ষড়যন্ত্র করে কোনো কিছু করতে পারবে না। আর তারা পারবে না। তাদের সেই বিষদাঁত একে একে ভেঙে দিচ্ছি, ভেঙে দেব। আমরা দেশকে এগিয়ে নিচ্ছি, আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করতে চায় তাদের ঘৃণা করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পৃথিবীর কোনো শক্তিই এই বিচার বন্ধ করতে পারবে না।