পর্নোগ্রাফির মামলায় স্কুলশিক্ষকের ১০ বছর কারাদণ্ড

কুষ্টিয়ায় ছাত্রীদের সঙ্গে জোরপূর্বক যৌনকর্মের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হেলাল উদ্দিন পান্না নামের এক স্কুলশিক্ষককে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মাহমুদা খাতুন এ রায় দেন।
এ ছাড়া মামলায় পান্নাকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
ওই মামলার বাকি দুই আসামি প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল, মনোয়ার হোসেন মনু বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার বারখাদা আদর্শ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পান্না বিদ্যালয় এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে প্রাইভেট পড়াতেন। পড়ানোর সময় বেশ কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে কৌশলে যৌনসম্পর্ক করেন তিনি। সেই চিত্র গোপন ক্যামেরায় ধারণ করে তা ফাঁস করে দেওয়ার কথা বলে ওই ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেইল করে অন্যদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করতেন। এভাবে দীর্ঘদিন চলে। এরপর এক ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তার ভাই ও এলাকাবাসী ২০১৩ সালের ১৫ জুন পান্না মাস্টারকে তাঁর ভাড়া বাসায় আটক করে গণধোলাই দেয়।
ওই সময় পান্না মাস্টারের কম্পিউটার থেকে কিছু ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর ও অন্য আসামিদের যৌন সম্পর্কের ভিডিওচিত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পরের দিন পুলিশ পর্নোগ্রাফি মামলায় পাঁচজনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায়।
এ রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি সরকারপক্ষের আইনজীবীরা। কুষ্টিয়া জজকোর্টের সহকারী কৌঁসুলি আসাদুজ্জামান মামুন বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আমরা মামলার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছি।’