জাপার প্রচারে আ. লীগের হামলা, জরিমানা দুই পক্ষকে

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভার কচ্ছপখালী এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থীর প্রচারে হামলা চালানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থীর লোকজন এই হামলা চালায় বলে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে হামলার খবর থেকে নির্বাচনের আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে বিকেলে দুই মেয়র পদপ্রার্থীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইন উদ্দিন খন্দকার।
কলাপাড়া জাপা নেতারা জানান, জাপা মনোনীত প্রার্থী আনোয়ার হাওলাদারের লাঙল মার্কা প্রতীকের পক্ষে তাঁর ভাতিজা ও কয়েকজন কর্মী-সমর্থক আজ দুপুরে নির্বাচনী প্রচারে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কচ্ছপখালী এলাকায় যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুল বারেক মোল্লার ভাই মোশারফ মোল্লা ও লতাচাপলী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেনসহ নেতা-কর্মীরা জাপা সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় জাপা প্রার্থীর ভাতিজা আল আমিন (৩২) গুরুতর আহত হন। তাঁকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে কুয়াকাটা হাসপাতালে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। জাপার সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারে বাধা ও হামলার শিকার হয়ে পৌর নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি জানান।
বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইন উদ্দিন খন্দকার ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসান। নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থকদের পক্ষে মেয়র পদপ্রার্থী আবদুল বারেক মোল্লাকে ১০ হাজার এবং জাপা সমর্থকদের পক্ষে মেয়র পদপ্রার্থী আনোয়ার হাওলাদারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কুয়াকাটার নৌপুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় মণ্ডল বলেন, ‘প্রচারে বাধা দেওয়ার খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছি।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইন উদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘কুয়াকাটার পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যে দলই আচরণবিধি ভঙ্গ করবে তার বিরুদ্ধেই প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’