জনকল্যাণে মেধাকে কাজে লাগান

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রতি দেশ ও দেশের জনগণের কল্যাণে মেধা, জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের প্রতি জাতির প্রত্যাশা হচ্ছে, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে আপনাদের মেধা, জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগানোর মাধ্যমে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে আপনারা অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবেন।’
আজ শনিবার বিকেলে সিলেট ক্যাডেট কলেজে আয়োজিত ওল্ড ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশন অব সিলেটের (ওকাস) সপ্তম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে প্রতিবছর অধিকাংশ ক্যাডেট যোগ দিয়ে দেশ ও দেশের বাইরে বিশেষ করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে দায়িত্ব পালন করে দেশের জন্য গৌবর বয়ে আনছে। শুধু সামরিক বাহিনীতে নয় ক্যাডেটরা চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষকতা, সাংবাদিকতা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা পেশায় নিয়োজিত। দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বড় ধরনের দুর্ঘটনায় এই ক্যাডেটরা জনগণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।’ প্রাক্তন ক্যাডেটদের এই সাফল্য ক্যাডেট কলেজ শিক্ষাব্যবস্থার সুদূর প্রসারী প্রতিফলন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
‘ভিশন-২০২১ এবং ২০৪১’ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সরকার দেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তর করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এসব পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’
দেশের ক্যাডেট কলেজগুলোকে শিক্ষার আদর্শ স্থান হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি শিক্ষার্থীদের সুপ্ত মেধা বিকাশে নিয়মিত শিক্ষা কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি নিয়মিত পাঠ্য কার্যক্রমবহির্ভূত কর্মকাণ্ড পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি- যাঁরা ক্যাডেট কলেজে লেখাপড়া করার সুযোগ পান, তাঁরা খুবই ভাগ্যবান। আগ্রহ ও সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কঠিন প্রতিযোগিতার কারণে অনেকে শিক্ষার্থী ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় না।’
আবদুল হামিদ শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা হচ্ছেন মানুষ গড়ার কারিগর। আমার বিশ্বাস, তরুণ ক্যাডেটরা আপনাদের ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে থেকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন।’
এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সিলেট ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ কমান্ডার সাইফুর রহমান, ওকাসের সভাপতি শানুর আলম বক্তব্য দেন।
রাষ্ট্রপতি ক্যাডেটদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধের একটি ডিসপ্লে প্রত্যক্ষ করেন। তিনি অনুষ্ঠানে একটি কেকও কাটেন।
রাষ্ট্রপতি এর আগে হযরত শাহজালাল (রহ.) এবং হযরত শাহ পরাণের (রহ.) মাজার পরিদর্শন করেন। তিনি প্রথমে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল (রা.)-এর মাজার পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি ফাতেহা পাঠ এবং দেশবাসী এবং দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে পরিচালিত বিশেষ মোনাজাতে অংশ দেন।
পরে তিনি হযরত শাহ পরাণ (রহ.)-এর মাজারে যান এবং সেখানেও তিনি ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন।