বাসে ককটেল হামলা, ছাদ থেকে পড়ে যাত্রীর মৃত্যু

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসে ককটেল হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় বাসের ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত এক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জনতা গণপিটুনি দিয়ে ছয় ‘শিবিরকর্মীকে’ পুলিশে দিয়েছে।
আজ রোববার বিকেলে উপজেলার ইটাখোলা সড়কের করিমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম উজ্জ্বল (৪৩) বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত আর কিছু জানা যায়নি।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেলে করে ছয় দুর্বৃত্ত এসে যাত্রীবাহী বাস লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়ে মারে।এ সময় ছাদে থাকা উজ্জ্বল তড়িঘড়ি করে নামতে গিয়ে গুরুত্বর আহত হন। তাঁকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যার পর তিনি মারা যান।
এ সময় স্থানীয় জনতা ধাওয়া দিয়ে তিন দুর্বৃত্তকে ধরে ফেলে। বাকি তিনজন পালিয়ে যাওয়ার সময় নিশ্চিন্তা মোড়ে এলাকাবাসী মোটরসাইকেলসহ তাদের আটক করে। পরে জনতা ধোলাই দিয়ে তাদের পুলিশে দেয়। তাদের কাছ থেকে চারটি পেট্রলবোমা ও একটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় উত্তেজিত জনতা দুর্বৃত্তদের একটি পালসার মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
গণপিটুনির শিকারদের শিবিরকর্মী বলে দাবি করেছেন ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন। তিনি এনটিভিকে জানান, এরা হলেন ইমন, আব্দুল খালেক, সানাউর রহমান, নূর আলম, আসাদুল্লাহ ও সোহেল। এদের বাড়ি জয়পুরহাটের হিচমি, ক্ষেতলাল, কালাই ও নওগাঁ জেলার পত্নীতলা এলাকায়। তাদের ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শিবিরকর্মীদের হামলায় আমিনুল ইসলাম নামে এক পুলিশ কনস্টেবলও আহত হন বলে জানান ওসি।