ভারতে সাজা শেষে দেশে ফিরল সাত কিশোর

দেড় বছর কারাভোগের পর সাত বাংলাদেশি কিশোরকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশে ফেরত আসা কিশোররা হচ্ছে বাগেরহাট জেলার রায়েন্দা এলাকার কবির উদ্দিনের ছেলে আরিফ উদ্দিন (১৪), যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার ঘগা গ্রামের আবদুল হালিমের ছেলে সাদিক হোসাইন গাজী (১৫), সাতক্ষীরার সদর উপজেলার সেলারডাঙ্গা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে রহমত আলী (১৪), বক্সসারা পশ্চিমপাড়া গ্রামের রশিদ উদ্দিনের ছেলে জাহিদুল শেখ (১৫), গোপালগঞ্জ সদরের মিনাক্ষের গ্রামের অনুকূল করের ছেলে চন্দন কর (১৪), যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানার বড়আঁচড়া গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে আবুল হোসেন (১৪), বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ থানার ধানসাগর গ্রামের মহারাজ মোল্লার ছেলে মফিজুল মোল্লা (১৩)।
বিজিবির বেনাপোল চেকপোস্ট ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার আবদুল হামিদ জানান, দেশে ফেরত আসা সাত বাংলাদেশি কিশোর দুই বছর আগে কাজের সন্ধানে বেনাপোলের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে যায়। সেখানে কলকাতার আলীপুর এলাকায় অবস্থান করার সময় সে দেশের পুলিশের হাতে তারা আটক হয়। সেখান থেকে পুলিশ তাদের জেলহাজতে পাঠায়। ভারতের আদালত তাদের দেড় বছর করে সাজা দেন।
বিজিবির কমান্ডার বলেন, সাজার মেয়াদ শেষে সেখান থেকে কলকাতার দক্ষিণেশ্বর দুর্বাশ্রম শেল্টার হোম তাদের হেফাজতে নেয়। ভারত-বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন চিঠি চালাচালির একপর্যায়ে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ‘রিপেট্রিয়েশন’ বা প্রত্যাবাসন আইনের মাধ্যমে এদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
বিজিবি এই সাত কিশোরকে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পোর্ট থানায় হস্তান্তর করেছে। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে যশোর মহিলা আইনজীবী সমিতির মাধ্যমে তাদের অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে জানান বিজিবির এ কর্মকর্তা।