মাদারীপুরে দেড় কোটি টাকার দরপত্র দাখিলে বাধা

মাদারীপুর শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের প্রায় দেড় কোটি টাকার দরপত্র দাখিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শরীয়তপুরের ডামুড্যা ইমামুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের মডেল প্রকল্পের এক কোটি ৪০ লাখ টাকার কাজের দরপত্র জমাদানের শেষ সময় ছিল গতকাল বুধবার দুপুর ১টা। কিন্তু বাধা দেওয়ার কারণে দুজন ছাড়া আর কেউ দরপত্র দাখিল করতে পারেননি।
মাদারীপুর শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারাই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ দরপত্র নিয়ে সমঝোতার জন্য গতকাল বুধবার শেষ মুহূর্তে স্থানীয় সরকার সমর্থকদের দুটি পক্ষ বৈঠকে বসে। কিন্তু উভয় পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। তার পরই একটি পক্ষের দুটি দরপত্র নির্দিষ্ট বাক্সে ফেলা হয়। এ সময় অন্য কয়েকজন দরপত্র দাখিল করতে চাইলেও তাঁদের বাধা দেওয়া হয়।
ঠিকাদারদের অভিযোগ, সমঝোতা না হওয়ায় সবাই দরপত্র বাক্সে ফেলার জন্য একসঙ্গে ভিড় জমায়। এ সময় কিছু লোক কৌশলে দরজায় দাঁড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ির কারণে তখন কোনো ঠিকাদারই ভেতরে ঢুকতে পারেননি। এ সময় সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা নীরব ভূমিকা পালন করেন।
মেসার্স ফ্রেন্ডস ট্রেডিং করপোরেশনের প্রতিনিধি নান্নু মুন্সী এনটিভি অনলাইনকে অভিযোগ করেন, সময় পেরিয়ে যাচ্ছে দেখে তিনি কার্যালয়ের পেছনের দিক দিয়ে গিয়ে নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট আগে জানালা দিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় কক্ষে রাখা বাক্সে ফেলে আসেন।
নান্নু মুন্সী আরো বলেন, পরবর্তী সময়ে বিকেল ৩টায় দুটি দরপত্র খোলা হলেও তাঁরটি আর খোলা হয়নি। তিনি সেটি খোলার দাবি জানালেও নির্বাহী প্রকৌশলী তা নাকচ করে দেন। এ সময় নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, তাঁর দরপত্রটি নির্ধারিত সময়ে ও নির্ধারিত স্থানে ফেলা হয়নি। তাই তিনি সেটি খুলতে পারবেন না। বিষয়টি নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে তাঁর বাকবিতণ্ডাও হয়।
অপর ঠিকাদার বাবু শরীফ অভিযোগ করেন, নির্ধারিত সময়ের কিছু আগে কতিপয় লোক দিয়ে দরজায় ভিড় লাগিয়ে রাখা হয়, যাতে কেউ দরপত্র দাখিল করতে না পারে। এ সময় তিনি দরপত্র দাখিল করতে গেলে তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম আক্তারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, দরপত্র দাখিলের শেষ মুহূর্তে কিছু বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলীকে ফোনে জানানো হয়েছে, দরপত্রটি বাতিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।