ঝন্টুর লাশ চুয়াডাঙ্গায় দাফন

কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচ জাসদ নেতা হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদুল ইসলাম ঝন্টুর লাশ দাফন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় দিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার উজিরপুর রিয়াজুল জান্নাহ করবস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
এর আগে উজিরপুর বায়তুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে স্থানীয় কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার কারি আবদুর রহমান ঝন্টুর জানাজা পড়ান।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুলিশ পাহারায় ঝন্টুর লাশ উজিরপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে রাত পৌনে ১টার দিকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ঝন্টুর ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কালিদাসপুরে জাসদের একটি সমাবেশে দুর্বৃত্তরা ব্রাশফায়ার করলে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফসহ পাঁচজন নিহত হন। ঘটনার পরদিন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইসহাক আলী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলার বিচার শেষে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ ২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট ১০ আসামিকে ফাঁসি ও ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। পরে একজনকে খালাস দিয়ে অপর নয়জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনের সবাইকে হাইকোর্ট খালাস দেন।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কারাবন্দি তিনজনের আপিল আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এ ছাড়া যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া ১১ জনের সবাইকে হাইকোর্ট খালাস দিয়ে যে রায় দেন, সে রায়ও বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।