নলছিটিতে কাউন্সিলরসহ ২৩ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ৫

ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় করা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার বেলা ১২টার দিকে নলছিটির অনুরাগ গ্রাম থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন আল-আমীন জমাদ্দার, সোহাগ হাওলাদার, মো. জাহাঙ্গীর, নূরে আলম হাওলাদার ও মো. জাহিদুল।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এ মামলাটি করেন আহত আওয়ামী লীগকর্মী আবু সাঈদ মোস্তফা কামালের বড় ভাইয়ের ছেলে ইকবাল হোসেন।
মামলায় নলছিটি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর আবদুল্লাহ আল মামুন লাবলু ও দৈনিক মানবজমিনের উপজেলা প্রতিনিধি কায়কোবাদ তুফানসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ ডিসেম্বর দুপুরে নলছিটি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আওয়ামী লীগকর্মী আবু সাঈদ মোস্তফা কামাল কাউন্সিলর প্রার্থী ফারুক হোসেনের পক্ষ অবলম্বন করে ভোট কারচুপির চেষ্টা করলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন লাবলুর সমর্থকরা বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে ভোটকেন্দ্রের পাশে বসেই লাবলুর সমর্থকরা কুপিয়ে এবং পিটিয়ে আহত করে আবু সাঈদ মোস্তফা কামাল ও তাঁর সহযোগী যুবলীগকর্মী সেলিম হোসেন ওরফে গালকাটা সেলিমকে। এ সময় আরো চার-পাঁচজন বহিরাগতকে ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। আহত কামাল ঢাকায় জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) এবং সেলিম বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা আবু সাঈদ মোস্তফা কামালকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে আহত করে। তাঁর কাছে থাকা একটি ক্যামেরা ও মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। আবদুল্লাহ আল মামুন লাবলুর হুকুমে (নির্দেশে) আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে এ হামলা করেছে বলে বাদী তাঁর এজাহারে দাবি করেন।
মামলার ২১ নম্বর আসামি দৈনিক মানবজমিনের নলছিটি উপজেলা প্রতিনিধি কায়কোবাদ তুফান বলেন, ‘আমি নির্বাচনের সময় ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মারামারির খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহের জন্য যাই। তথ্য নিয়ে সেখান থেকে চলে আসি। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
এ ব্যাপারে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমান বলেন, মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামি নবনির্বাচিত কাউন্সিলর লাবলুসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।