পেট্রলবোমায় নিহত বাবা-মেয়ের লাশ কবর থেকে উত্তোলন

বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের আন্দোলন চলাকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেট্রলবোমায় নিহত যশোরের নুরুজ্জামান পপলু ও তাঁর মেয়ে মাইশার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য প্রায় এক বছর পর কবর থেকে তোলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হাসান ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড কবরস্থান থেকে তাঁদের লাশ উত্তোলন করা হয়। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাতে কক্সবাজার থেকে যশোর ফেরার পথে পপলু ও মাইশাকে বহনকারী বাসটি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌঁছালে পেট্রলবোমা হামলার শিকার হয়। এতে পপলু ও মাইশাসহ বাসের আট যাত্রী নিহত হন। নিহতদের মধ্যে সাতজনকে সে সময় ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছিল।
আদালতে এ মামলার শুনানি চলাকালে কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মুনতাসির আহমেদ নিহত সবার ময়নাতদন্তের আবশ্যকতার প্রয়োজনীয়তা কথা বলেন। গত ২ সেপ্টেম্বর পপলু ও মাইশাসহ নিহত সাতজনের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এসআই মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, এ মামলায় বিচারকের নির্দেশে এরই মধ্যে কক্সবাজার থেকে দুজন, যশোর থেকে দুজনের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আগামীতে নরসিংদী ও শরীয়তপুর থেকে আরো তিনজনের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হবে। এরপর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।
মেডিকেল টিমের প্রধান ডা. হুসাইন সাফায়েত জানান, দুটি লাশের ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিনজন চিকিৎসককে নিয়ে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। খুব দ্রুতই ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দেওয়া হবে।