নলছিটিতে কাউন্সিলরসহ ১৭ জনের নামে মামলা

ঝালকাঠির নলছিটিতে গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনের সময় যুবলীগকর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় নবনির্বাচিত পৌর কাউন্সিলরসহ ১৭ জনের নামে মামলা হয়েছে। আহত যুবলীগকর্মী মো. সেলিম বাদী হয়ে শনিবার রাতে নলছিটি থানায় এ মামলা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলাকালে বেলা ১১টার দিকে নলছিটি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অনুরাগ এলাকায় যুবলীগকর্মী মো. সেলিমকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ফারুক হোসেনের সমর্থক হওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন লাবলুর (নবনির্বাচিত কাউন্সিলর) নির্দেশে সন্ত্রাসীরা তাঁকে কুপিয়ে আহত করে। গুরুতর অবস্থায় সেলিমকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে নির্বাচনের দিন একই সময় আওয়ামী লীগকর্মী আবু সাঈদ মোস্তফা কামালকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি রাতে নলছিটি থানায় কাউন্সিলর আবদুল্লাহ আল মামুন লাবলুসহ ২৩ জনের নামে আরো একটি মামলা করা হয়। আহতের বড় ভাইয়ের ছেলে ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে ওই মামলাটি করেন। পুলিশ গত ২৫ জানুয়ারি শপথ অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় এলাকা থেকে লাবলুকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
কাউন্সিলর আবদুল্লাহ আল মামুন লাবলু বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের সমর্থক হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। নির্বাচনের দিন বহিরাগত সন্ত্রাসীরা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অনুরাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট কেটে নিতে প্রবেশ করে। এ সময় এলাকার লোকজন তাঁদের প্রতিরোধ করে। এ ঘটনার সঙ্গে আমার বা অন্য যাদের আসামি করা হয়েছে তারা কেউই জড়িত নন। যাঁরা আহত হয়েছেন (আবু সাঈদ মোস্তফা কামাল ও মো. সেলিম) তাঁরা এ ওয়ার্ডের ভোটারও নয়। তারা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফারুক হোসেনের ভাড়াটে সন্ত্রাসী। ভোটে হেরে গিয়ে প্রতিপক্ষরা একের পর এক ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করছে। আমি এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নলছিটি থানার উপপরিদর্শক মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘দুটি মামলাই আমি তদন্ত করছি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’