মৌলভীবাজারের আজিজ ও মান্নান কারাগারে
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/03/02/photo-1456903315.jpg)
মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেপ্তার মৌলভীবাজারের আবদুল আজিজ ওরফে হাবুল (৬৩) ও আবদুল মান্নানকে (৬৪) কারাগারে পাঠিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আগামী ৩ মে আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ বুধবার ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি শাহীনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর সমন্বয়ে দুই সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমীন মুন্নী শুনানিতে অংশ নেন। শুনানিতে তিনি তদন্তের স্বার্থে আদালতকে আসামিদের আটক রাখার আবেদন করেন। পরে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে আজ সকালে আবদুল আজিজ ও আবদুল মান্নানকে আদালতে হাজির করা হয়।
ওই দুজনের বিষয়ে প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমীন মুন্নী সাংবাদিকদের বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহান কবির একই সঙ্গে আরো তিনটি মামলায় তদন্তের কাজ করেছেন। ফলে এ মামলার তদন্তকাজ কিছুটা ধীরগতিতে হয়েছে। এ মামলার আসামিরা এলাকার প্রভাবশালী। ফলে নানাভাবে তাঁরা তদন্তকাজে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করছেন। তা ছাড়া আসামিদের এলাকাটি সীমান্তবর্তী হওয়ায় যেকোনো সময় পালিয়ে যেতে পারেন। তাই মামলার তদন্তের স্বার্থেই আসামিদের আটক রাখা প্রয়োজন। আদালত আবেদন গ্রহণ করে তাঁদের কারাগারে প্রেরণ করেন।
এর আগে গত ১ মার্চ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
এ মামলার আসামি তিনজন হলেন আবদুল মান্নান ওরফে মনাই মিয়া (৬৪), আবদুল আজিজ ওরফে হাবুল (৬৩) ও আবদুল মতিন (৬১)। এর মধ্যে আবদুল মতিন পলাতক। আসামিদের মধ্যে দুজন—আবদুল আজিজ ও আবদুল মতিন সম্পর্কে সহোদর। তাঁরা একাত্তরে ছাত্রলীগ করতেন।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ওই দুই সহোদর মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে ভারতের বারপুঞ্জিতে যান। কিন্তু প্রশিক্ষণরত অবস্থায় তাঁরা পালিয়ে এসে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। অপর আসামি আবদুল মান্নান একাত্তরে স্থানীয় মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন।
আসামি তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ, লুট, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ রয়েছে।