খুলনার বরখাস্ত মেয়র মনির মালামাল ক্রোকের নির্দেশ

খুলনা সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত হওয়া মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনিসহ ছয়জনের মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বিকেলে খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম এম এল বি মেছবাহ উদ্দিন আহমেদ এ নির্দেশ দেন। আদালতের জিআরও উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় কুমার দাস এ নির্দেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মনি ছাড়া আরো যাদের মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিএনপি নেতা শেখ গাউছুল আজম গাউছ, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিএনপি নেতা কে এম হুমায়ূন কবীর, খুলনা মহানগর ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফরাজী, মো. শাহীন ও মো. গাউছ।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর খুলনা নগরীর পাওয়ার হাউস মোড়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অবরোধ চলাকালে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় খুলনা সদর থানার এসআই অনুকুল চন্দ্র ঘোষ বাদী হয়ে বিএনপি-জামায়াতের ৪৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল খুলনা সদর থানার এসআই তাপস কুমার পাল সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র মনিরুজ্জামান মনিসহ ৫২ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু তাঁরা আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি। এর আগে ২০১৫ সালের ২ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনিকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, আজ সকালে তিনি এই মামলায় হাজিরা দিয়েছেন তখন মালামাল ক্রোকের কোনো আদেশের কথা তাঁর আইনজীবী জানাননি।
সিটি মেয়র মনিরুজ্জামান মনি বরখাস্ত হওয়ার পর কিছুদিন আত্মগোপনে থেকে বর্তমানে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন। তাঁর বাসার টেলিফোনে ফোন করলে তাঁর স্ত্রী জানান তিনি নামাজ আদায় করছেন।