খুলনার মেয়র মনি কারাগারে

খুলনা সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত হওয়া মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির জামিন না মঞ্জুর করে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে মহানগর দায়রা জজ অরূপ কুমার গোস্বামী এই আদেশ দেন।
এর আগে মনিরুজ্জামান মনি ২০১৩ সালের একটি মামলায় আজ বেলা ১১টায় মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে নিয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
মনিরুজ্জামানের পক্ষে জামিনের আবেদন করে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজুর আহমেদ, এস আর ফারুখ ও গাজী আব্দুল বারী। তাঁরা মনিরুজ্জামান কঠিন রোগে আক্রান্ত দাবি করে তাঁর পক্ষে কাগজপত্র দাখিল করেন। এই সময় পুলিশের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
শুনানি শেষে দুপুর ২টায় মহানগর দায়রা জজ অরূপ কুমার গোস্বামী জামিন নামঞ্জুর করে মনিরুজ্জামান মনিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ ভ্যানে করে মনিকে খুলনা জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর খুলনা নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড়ে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে পুলিশের ওপর ‘হামলা’ চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় খুলনা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অনুকূল চন্দ্র ঘোষ বাদী হয়ে বিএনপি-জামায়াতের ৪৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল খুলনা সদর থানার এসআই তাপস কুমার পাল খুলনা সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র মনিরুজ্জামান মনিসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর আগে ২০১৫ সালের ২ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় মেয়র মনিরুজ্জামান মনিকে সাময়িক বরখাস্ত করে। পরে আদালত ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এরপর গত ১৬ মার্চ খুলনা সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত হওয়া মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনিসহ ছয়জনের মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেন খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম এম এল বি মেছবাহ উদ্দিন আহমেদ।
মেয়র মনিরুজ্জামান বরখাস্ত হওয়ার পর থেকে খুলনাতে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। মাঝেমধ্যে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতেন। তবে মালামাল ক্রোকের আদেশের পর তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ আত্মসমর্পণ করেন বলে জানা গেছে।