হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া ঢোকানো যাবে না : নৌমন্ত্রী

রাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিতে আগামী ১ এপ্রিল থেকে কাঁচা চামড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
আজ রোববার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ কথা জানান মন্ত্রী।
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ নদের দূষণরোধে ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ নেওয়া হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ‘লিড মিনিস্ট্রি’ হিসেবে কাজ করবে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, নৌবাহিনীর প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায় উপস্থিত ছিলেন।
শাজাহান খান বলেন, নদীর দখল ও দূষণরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং আইন প্রয়োগ জোরদার করতে হবে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী নদীর দখল ও দূষণরোধ বিষয়ে আগামী এক মাসের মধ্যে একটি ধারণাপত্র (কনসেপ্ট পেপার) তৈরি করবে এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম নেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, নদীদূষণের অন্যতম কারণ হলো শিল্প বর্জ্য, যা শতকরা ৬০ ভাগ। এর মধ্যে ট্যানারির বর্জ্য ৪০ শতাংশ। হাজারীবাগের ট্যানারির বর্জ্য যাতে নদীদূষণ করতে না পারে সে জন্য মালিকদের জন্য নির্ধারিত সাভারের শিল্প নগরীতে দ্রুত চলে যেতে হবে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে হাজারীবাগের ট্যানারিতে কোনো কাঁচা চামড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারি স্থানান্তরের ৭২ ঘণ্টা আলটিমেটাম দিয়েছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। কিন্তু তাঁর আলটিমেটাম কর্ণপাত করেননি ট্যানারি মালিকরা।