প্রয়োজনে সেনা মোতায়েনের পরামর্শ সুজনের
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/03/21/photo-1426923299.jpg)
দেশব্যাপী চলমান সহিংসতার মধ্যে তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নির্দলীয় করতে নির্বাচন কমিশন, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। প্রয়োজনে নির্বাচনের আগেই সেনা মোতায়েনের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
দেরিতে হলেও ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং মেয়াদ পূর্তির আগেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সুজনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সারা দেশে সহিংস ও অস্থিতিশীল এক পরিস্থিতির মধ্যে এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য অনেক প্রার্থী মামলার কারণে পলাতক বা কারারুদ্ধ রয়েছেন। তাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার বিষয়টিকে নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে সুজন।
সুজনের পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্দলীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হলে ফলাফল প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেই সঙ্গে দলীয় মনোনয়নে ফলে আগ্রহ থাকলেও অনেক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। এতে ভোটাররা যোগ্য প্রার্থী বাছাই করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। তাই সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে নির্দলীয় রাখতে রাজনৈতিক দল এবং সব আগ্রহী প্রার্থীকে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সুজন।
তফসিল ঘোষণার পর থেকেই সম্ভাব্য প্রার্থী প্রচার প্রচারণার বিধিমালা ভঙ্গ করছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে সুজন। সংগঠনটি বলছে, ভোটগ্রহণের আগের নির্ধারিত ২১ দিনের মধ্যে প্রচারণা সীমাবদ্ধ রাখতে নির্বাচন কমিশনকে আরো কঠোর হতে হবে। সেই সঙ্গে প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য দ্রুত প্রকাশ করতে হবে যাতে ভোটাররা তাঁদের সম্পর্কে জেনে, বুঝে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সুজন সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের অনুরোধ, বিএনপির কেউ প্রার্থী হলে যেন তাঁকে বাধা দেওয়া না হয়। নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির পেছনে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। যে ভয়ভীতি বিরাজ করছে, অনেক প্রার্থী পলাতক আছেন, অনেক প্রার্থী জেলে আছেন, যাঁরা জামিনযোগ্য তাদের জামিন দিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করাই গুরুত্বপূর্ণ।’
নির্বাচন কমিশনের দুর্বলতা বিষয়ে জানতে চাইলে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও অনেকের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে অনীহা নাগরিকদের মনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি করে। আগের দুটো নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জালভোট হয়েছে, কারচুপি হয়েছে। আমরা আশা করি, এ নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের পারফরমেন্স ভালো হবে। এ নির্বাচনের ক্ষেত্রে আগের বিষয়গুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব পালন করবে।’