প্রথম তিন ঘণ্টায় চেয়ারম্যানদের জয় নিশ্চিত!

প্রথম দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঝালকাঠির চার উপজেলার ৩১টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণের শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীরা কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মেরেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এসব কেন্দ্রে বিএনপি, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয় বলেও জানা গেছে। কেন্দ্র দখল ও ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীসহ ৩০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।
এদিকে সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের কালিয়ান্দার প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে আবুল কাশেম সিকদার নামে (৫৫) একজন নিহত হয়েছেন।
একই ইউনিয়নের কাপড়কাঠি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে অসাবধানতাবশত আনসার সদস্যের গুলিতে গৌরাঙ্গ ব্যাপারী নামের এক ভোটার আহত হয়েছেন। এ ছাড়া নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের উত্তর তিমিরকাঠি, গোহালকাঠি, কাঁঠালিয়ার চেঁচরিরামপুর ইউনিয়নের সিকদারহাট কেন্দ্রে ইউপি সদস্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অর্ধশত ব্যক্তি আহত ও এক নারী ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী লাঞ্ছিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ইউপি সদস্যের ভাই নিহত, আহত ৫
ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের কালিয়ান্দার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের পাশে দুই ইউপি সদস্যের কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে আবুল কাশেম সিকদার (৫৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি কালিয়ান্দার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী চুন্নু সিকদারের ভাই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে নবগ্রাম ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী সজীব হোসেনের সমর্থকরা দলবল দিয়ে জাল ভোট দিচ্ছিল। এতে বাধা দেয় প্রতিদ্বন্দ্বী চুন্নু সিকদারের সমর্থকরা। এ সময় সজীব হোসেনের সমর্থকরা লাঠিসোটা দিয়ে হামলা চালায় তাদের ওপর। পুলিশ লাঠিপেটা করে উভয় পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কিছুক্ষণ পরেই ভোটকেন্দ্র থেকে একটু দূরে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে আবুল কাশেম সিকদার নিহত হন। সংঘর্ষে আহত হন কমপক্ষে পাঁচজন।
এদিকে একই ইউনিয়নের কাপড়কাঠি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এক আনসার সদস্যের অসাবধানতাবশত গুলিতে গৌরাঙ্গ ব্যাপারী নামের এক ভোটার আহত হয়েছেন। আহতদের ঝালকাঠি সদর ও বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভোটকেন্দ্র দখল
সকাল ৮টায় ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের উত্তর তিমিরকাঠি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরপরই ১৫-২০ জন সঙ্গী নিয়ে কেন্দ্রে আসেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধার ছোট ভাই নাসির উদ্দিন মৃধা। তাঁরা পাঁচটি ভোটকক্ষে ভাগ হয়ে ঢুকে পড়েন। এরপর শুরু হয় ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট পেপার রেখে দিয়ে নৌকায় সিল দেওয়া। চার নম্বর ভোটকক্ষে প্রবেশ করতেই দেখা যায়, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এজেন্ট জামাল খলিফা জোর করে ব্যালট টেনে রেখে দিচ্ছেন ভোটারদের কাছ থেকে। এক নারী এর প্রতিবাদ করলে চোখ রাঙিয়ে তাঁকে শাসিয়ে দেন জামাল। ভয়ে ওই নারী তাঁর সামনে বসেই নৌকায় সিল মেরে দিয়ে দ্রুত কেন্দ্র থেকে বের হন। ওই নারীর পিছু নিয়ে নাম জানতে চাইলে তিনি কিছু না বলেই আঁচল দিয়ে মুখ ঢেকে চলে যান।
সকাল সাড়ে ৯টায় একই ইউনিয়নের তিমিরকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর এজেন্ট ইউনিয়ন যুবলীগ আহ্বায়ক হেমায়েত হোসেন ভোটারদের কাছ থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট জোর করে রেখে দিচ্ছেন। পরে চার-পাঁচটি জমা হলে একসঙ্গে নৌকায় সিল দিয়ে বাক্সে ফেলেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা নিরুপায় হয়ে তা দেখছেন।
সকাল ১০টায় ওই ইউনিয়নের দপদপিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা মেলে একদল যুবক ভোটকক্ষের মধ্যে দলাদলি করছে। তাদের প্রত্যেকের হাতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট। নৌকায় সিল দিচ্ছেন সমানতালে। কিছুক্ষণ পরেই সেখানে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা। তিনি এসে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমানের আনারস প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেন। পরপর তিনি মোটরসাইকেলযোগে কাঠেরঘর-কয়া সড়কের পাশে অবস্থিত আরো তিনটি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আনারসের এজেন্টদের বের করে দিয়ে তার কর্মীদের ভোট দিতে বলেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় ওই ইউনিয়নের ভরতকাঠি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গেলে নারী ভোটারদের ভিড় চোখে পড়ে। কক্ষের পাশে আড়াল থেকে দাঁড়িয়ে দেখা যায়, দাড়িওয়ালা টুপি পরা এক আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এজেন্ট নারী ভোটারদের কাছ থেকে জোর করে ব্যালট রেখে দিয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার পাশে বসেই নৌকায় সিল মারছেন। এক ভোটারের কাছ থেকে জানা যায়, তার নাম বজলুর রহমান। ভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই তিনি ব্যালট পেপার টেনে রেখে সিল মারার কাজটি করছেন। বেলা ১১টার মধ্যেই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট প্রায়ই শেষ হয়ে যায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ভোটার।
নলছিটির পূর্বপ্রান্তে দপদপিয়া ইউনিয়নের অবস্থান। সেখান থেকে ঝালকাঠি সদরের পাশেই পশ্চিমপ্রান্তে রানাপাশা ইউনিয়নে প্রবেশ করতেই চোখ আটকে যায় উত্তর তেঁতুলবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার শূন্য দেখে। কক্ষের ভেতরে ঢুকতেই ব্যালট পেপারগুলো গুছিয়ে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন কয়েকজন যুবক। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে এক যুবকের হাত ফসকে পড়ে যায় একটি ব্যালট পেপার। ব্যালট পেপারটি নৌকায় সিল মারা। ওই ভোটকেন্দ্রে আগে থেকেই প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সামনে বসেই দল বেঁধে নৌকায় সিল মারেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। পাশের কক্ষে গিয়ে দেখা গেল চেয়ারম্যান প্রার্থীর কোনো ব্যালট নেই। আগে থেকেই নৌকায় সিল মেরে বাক্স ভরা হয়েছে। শুধু এই দুটি ইউনিয়নই নয় নলছিটি উপজেলার দশটি ইউনিয়নজুড়ে ভোট গ্রহণের পর থেকেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী ও এজেন্টদের এভাবেই কেন্দ্র দখল করে ভোট দিতে দেখা গেছে।
কেঁদে কেঁদে ভোট বর্জন
আজ বেলা ১১টার মধ্যেই নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধার পক্ষে চলে আসে ভোটের ফলাফল। কেন্দ্র দখল, ভোট জালিয়াতি ও নানা হুমকির মুখে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন ডেকে ভোট বর্জন করেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমনা রহমান। কেঁদে কেঁদে তিনি ভোটকেন্দ্রে তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ সময় তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে দপদপিয়া ইউনিয়নে পুনরায় নির্বাচন দাবি করেন। তাঁর চোখেমুখে ছিল হতাশার ছাপ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তাঁর ভাই ও ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করে বেলা ১১টার মধ্যেই নৌকায় সিল দিয়ে বাক্স বোঝাই করে। কিছুক্ষণ পরেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর স্বামী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। তিনিও ‘ভোট কারচুপির নির্বাচন’ বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন দাবি করেন।
এর পর একে একে জেলার ৩১টি ইউনিয়নে মোট ৩০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এর মধ্যে রয়েছে বিএনপি মনোনীত ২৫ চেয়ারম্যান প্রার্থী। বাকি পাঁচটির মধ্যে তিনজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
বিএনপির ভোট বর্জন
নির্বাচনে বিভিন্ন অনিময় ও ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে ঝালকাঠির ২৫ ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন।
বিকেলে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিস সড়কে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নূপুর ভোট বর্জনের এ ঘোষণা দেন। তিনি দাবি করেন, ভোট গ্রহণের শুরু থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করেছেন। জাল ভোট প্রদানসহ বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। এ জন্য বিএনপি প্রার্থীরা ভোট বর্জন করার ঘোষণা দেন। এ সময় বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
হামলা-সংঘর্ষ
দপদপিয়া ইউনিয়নের গোহালকাঠি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশেই দুই ইউপি সদস্য প্রার্থী কামাল হোসেন ও মো. জসিম উদ্দিনের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে আজ বেলা ১১টার দিকে সংঘর্ষ বাধে। জসিম উদ্দিন ও তাঁর কর্মীরা কেন্দ্র দখল করে ভোট জালিয়াতির চেষ্টা করলে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।
দুপুর ২টায় উত্তর তিমিরকাঠি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থী সোহেল হাওলাদার ও হারুন খন্দকারের মধ্যে ভোটকেন্দ্রে মধ্যে বসেই হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা জড়ো হলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হন। এঁদের মধ্যে গুরুতর আহত ১০ জনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় ৪৫ মিনিট ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়।
প্রায় একই সময়ে কাঁঠালিয়া উপজেলার চেঁচরিরামপুর ইউনিয়নে দুই ইউপি সদস্য ও তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন।
অপহরণ
ভোট শুরু হওয়ার আগেই গতকাল সোমবার রাতে নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য প্রার্থী আলতাফ হোসেনকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে প্রতিদ্বন্দ্বী সদস্য প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে। রাত ১০টার দিকে পশ্চিম গোপালপুর গ্রাম থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে মিজানুর রহমান ও আরো ১০-১২ জন ব্যক্তি ধরে নিয়ে স্থানীয় রুস্তম হাওলাদারের বাসার একটি কক্ষে আটকে রাখেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আফজাল হোসেন অভিযোগ করেন, ভোটে নিশ্চিত পরাজয় ভেবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মিজানুর রহমান তাঁকে অপহরণের পরে দুটি ৩০০ টাকার সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। তাঁর কাছে পাঁচ লাখ টাকাও দাবি করেন তাঁরা। দিতে না পারায় টাকার পরিমাণ না লিখেই একটি চেক সই করিয়ে নেন। পরে তিনি নলছিটি শহরে চলে আসেন। এ ঘটনায় তিনি নলছিটি নির্বাচন কর্মকর্তা ও থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তবে নির্বাচন সার্বিক বিষয় নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ঝালকাঠি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খান আবি শাহানুর খান। তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দু-একটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। একটি কেন্দ্রে ভোট ৪৫ মিনিট বন্ধ রাখার পরে পুনরায় চালু করা হয়। কয়েকজন প্রার্থী অভিযোগ দিয়েছেন, সেসব তদন্ত করে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।